বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে 5G নেটওয়ার্ক স্থাপনে সবুজ সংকেত দিল চীন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে Huawei-র ব্যবসায়িক টানাপোড়েনের মাঝেই দেশের যোগাযোগ মাধ্যম শক্তিশালী করতে চীনের এই পদক্ষেপ।
এদিন চীনের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় চারটি চীনা রাষ্ট্রায়াত্ব টেলিকম সংস্থাকে 5G চালু করার লাইসেন্স প্রদান করে। ২০১৮-র শেষের দিকে এই সংস্থাগুলিকে পরীক্ষামূলকভাবে 5G চালু করার অনুমতি দেয় চীন। বৃহস্পতিবারের লাইসেন্স পাওয়ার পর এই সংস্থা গুলি পাকাপকিভাবে 5G নেটওয়ার্ক চালু করার অনুমতি পেল।
লাইসেন্স প্রদানের অনুষ্ঠানে শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মিয়াও ওয়েই জানান, এই নতুন প্রযুক্তি দ্রুত গতিসম্পন্ন, মোবাইলের জন্য নিরাপদ। নতুন শিল্পের পরিকাঠামো গড়তে এটি সাহায্য করবে।
চীনা সরকারের মতে এই প্রযুক্তির ফলে দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে। অন্যদিকে বেকারত্বের হারও কমাবে এই নতুন প্রযুক্তি। ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল অবধি প্রায় ত্রিশ লক্ষ কর্মসংস্থান দেবে 5G যোগাযোগ ব্যবস্থা।
চলতি বছর মার্চ মাসে চীনের সাংহাইয়ের হংকউ জেলায় প্রথম বার পরীক্ষামূলকভাবে 5G নেটওয়ার্ক চালু করা হয়। সেই কাজে সাফল্য আসায় ব্যবসায়িকভাবে 5G চালু করতে অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় চীনা সরকার।
প্রাথমিক পর্যায়ে চীনা তিব্বতসহ বিভিন্ন বড় শহরে 5G নেটওয়ার্ক স্থাপনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসায়িক বিবাদে জেরবার চীনা সংস্থা Huawei। এর মাঝেই চীনে 5G-র ট্রায়াল শুরু করতে চাইছে হুয়াওয়ে। এই 5G যোগাযোগ ব্যবস্থার গতিবেগ বর্তমান 4G-র তুলনায় দশ থেকে একশো গুণ বেশি দ্রুত হবে।
অন্যদিকে চীনা সংস্থা Huawei-র সঙ্গে সকল ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি Huawei-র প্রযুক্তি ব্যবহার করে অন্যান্য দেশের উপর নজরদারি চালাতে চাইছে চীনা সরকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতোই দেশে Huawei-র 5G যন্ত্রপাতির প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে অস্ট্রেলীয়া এবং নিউজিল্যান্ড সরকার। তবে, চীনা সরকারের সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে Huawei।