ডিএমপি নিউজঃ আগামী ১৫ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রিদেশীয় ক্রিকেট সিরিজ। এই সিরিজে অংশ নিচ্ছে স্বাগতিক বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। উক্ত সিরিজের নিরাপত্তা প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত সমন্বয় সভায় ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম-বার, পিপিএম সকলের উদ্দেশ্যে বলেন দেশটা আমাদের, রাষ্ট্রীয় সম্মান রক্ষার্থে আমাদের কাজ করতে হবে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্তে আজ ৪ জানুয়ারি ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে এক সমন্বয় সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় ডিএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিসিবি, গোয়েন্দা সংস্থা, ডিসিসি, ফায়ার সার্ভিস, সরকারী বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানা যায়, আগামী ১০ জানুয়ারি হতে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফর করবে। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল বাংলাদেশে আসবে ১০ জানুয়ারি। আর ১৩ জানুয়ারি আসবে শ্রীলংকা ক্রিকেট দল। ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলা হবে যাথাক্রমে ঢাকা ও চট্টগ্রামে। এর আগে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) তে নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সিরিজে অংশগ্রহণকারী দলগুলো।
সভাপতির বক্তব্যে কমিশনার বলেন- পুলিশ ও বিসিবি’র সাথে সমন্বয় করে সকলকে নিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। বিসিবি, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে আমরা বিগত দিনে খেলোয়াড়দের সফল নিরাপত্তা দিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের সক্ষমতাকে প্রমাণ করেছি। এ কৃতিত্ব শুধু আমাদের না এই কৃতিত্ব বাংলাদেশের নাগরিকদের। তাঁরা আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছেন সুষ্ঠু নিরাপত্তা দিতে। জনশৃংখলা রক্ষার ক্ষেত্রে সকলের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।
ডিএমপি’র পক্ষ থেকে কমিশনার সুদৃঢ়ভাবে বলেন, বিমানবন্দর কেন্দ্রিক, খেলোয়াড়দের আবাসনস্থল, খেলার ভেন্যু, প্রাকটিস ভেন্যু ও যাতায়াত পথের নিরাপত্তা বিধানের জন্য আমরা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবো। হোটেল গুলোতে থাকতে হবে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। থাকতে হবে সিসি ক্যামেরা, আর্চওয়ে, লাগেজ স্ক্যানারসহ মেটাল ডিটেক্টর ব্যবস্থা। বহিরাগত গেস্ট প্লেয়ারদের সাথে দেখা করতে হোটেলে তাদের রুমে যেতে পারবে না। প্রয়োজনে হোটেল লবিতে দেখা করবে।
তিনি আরো বলেন, খেলোয়াড়দের যাতায়াত পথে নেয়া হবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত রুফটপ ডিউটি ও টহল ব্যবস্থা। রাস্তার পাশে ভ্রাম্যমান হকার উচ্ছেদসহ ময়লা আবর্জনা অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে বলেন।
বিসিবি’র উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, টিকিট ছাড়া কোন লোক স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য লক্ষ্য রাখতে হবে। সিট প্লানিং অনুযায়ী দর্শকদের নিজ নিজ আসনে বসতে হবে। নিজ আসন ছাড়া অন্য জায়গায় বসা যাবে না। এতে শৃঙ্খলা নিশ্চিত থাকবে।
টিকিট কালবাজারী ঠেকাতে প্রস্তুত থাকবে ডিবি ও পোশাকধারী পুলিশ। পর্যাপ্ত ছেলে ও মেয়ে ভলেন্টিয়ার বিসিবিকে নিয়োগ করতে হবে। খেলা ও অনুশীলনের পূর্বে এসবি ও র্যাব দিয়ে ভেন্যু সুইপিং করা হবে। অগ্নি নির্বাপনের জন্য হোটেল ও ভেন্যুতে রাখা হবে পর্যাপ্ত ফায়ার টেন্ডার ও এ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। ভেন্যু অপারেশন সেন্টার (ভিওসি) থেকে সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
এছাড়াও তিনি সকল প্রতিনিধির উদ্দেশ্যে বলেন, যার যা দায়িত্ব সে সঠিকভাবে পালন করলে একটি নিরাপদ ও সুশৃংখল সিরিজ উপহার দিতে পারবো। আমরা আরো একবার সমন্বিত নিরাপত্তা প্রদান করে আমাদের ওয়াল্ড ক্লাস নিরাপত্তা দেয়ার সক্ষমতার প্রমাণ দিবো।