এসআরও এর মাধ্যমে শিল্পবান্ধব শুল্ক কাঠামো নির্ধারণের ফলে বাংলদেশে মোটর সাইকেল উৎপাদনকারী শিল্প ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে।
আজ রোববার শিল্প মন্ত্রণালয়ে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠককালে জাপানের রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, এ শিল্পখাতে শতকরা ২০ ভাগ সম্পূরক শুল্ক থাকায় ইতোমধ্যে মোটর সাইকেল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলোর প্রসার এবং কর্মসংস্থান বেড়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দ্রুত প্রগ্রেসিভ ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্পখাত বিকশিত হবে।
বৈঠকে জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে বলেন, জাপান সবসময় বাংলাদেশের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে গুণগত শিল্পায়নের ধারা জোরদারে জাপানের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের স্বার্থে মোটর সাইকেল উৎপাদন ও সংযোজন শিল্পে শতকরা ২০ ভাগ সম্পূরক শুল্ক অব্যাহত রাখতে শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জাপানকে বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু ও উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাপান সফরের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে অর্থবহ দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সম্পর্কের সূচনা হয়। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নির্মাণ এবং পদ্মা সেতুর প্রাক-সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়। তিনি উৎপাদনমুখী মোটর সাইকেল শিল্পের প্রসারে সহায়ক শুল্ক কাঠামো নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগসহ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।