দেশের আলু মালয়েশিয়ায় রফতানি হচ্ছে। এর ফলে দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে আলুর বাজার চাঙা হয়ে উঠছে। ফলে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষক, কৃষি শ্রমিক, ব্যবসায়ী, রফতানিকারক ও পরিবহনের সাথে সংশ্লিষ্টরা। মৌসুমের শুরুতে ক্রেতা না থাকায় কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়লেও ভালো দাম পাওয়ায় উৎপাদিত আলু বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছে কৃষকরা।
কৃষকরা জানান, ক্রেতার সংকটে মৌসুমের শুরুতে আলুর বাজার পড়ে গিয়েছিল আশঙ্কাজনক হারে। বাজার মন্দা ও ক্রেতা না থাকায় জমি থেকে আলু উত্তোলন করতে পারছিল না আলু চাষীরা। প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল জাতভেদে ৬ থেকে ৭ টাকা। এ অবস্থায় লোকসানের শঙ্কায় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন আলু চাষীরা। কিন্তু তিন সপ্তাহ ধরে বিদেশে আলু রফতানি বেড়ে যাওয়ায় এবং হিমাগারে আলু সংরক্ষণ হওয়ায় দাম ক্রমেই বাড়ছে আলুর। এখন দাম কেজি প্রতি ১ থেকে ২ টাকা বেড়েছে।
রপ্তানির জন্য আলু প্রক্রিয়াজাত করণের নানা ধাপে বেশকিছু শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এ কারণে খুশি এলাকার কৃষি শ্রমিকরা। পুরুষের সাথে সমান তালে কাজ করছে নারীরাও। জমি থেকে আলু সংগ্রহের পর এখানে আলু বাছাই, গ্রেডিং, ওজন, প্যাকিং, ট্রাকে লোডসহ নানা কাজে দৈনিক ব্যস্ত থাকছে দুই শতাধিক শ্রমিক।
পাশাপাশি ভ্যান, ট্রলি আর ঘোড়ার গাড়ির শতাধিক শ্রমিক আলু পরিবহনের কাজও করছে। স্তূপকৃত আলু থেকে আলু বাছাইয়ের কাজ করছে নারী শ্রমিকরা। তারা প্যাকেজ তৈরী, ওজন ও প্যাকিংয়েরও কাজ করছে।
রফতানিকারকদের সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গ্রানুলা, ডায়মন্ড, কুমারিকা ও সাগিতা জাতের সাদা রঙের আলু মালেয়শিয়ায় যাচ্ছে। আলুর সাইজ ৮০ থেকে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত। কার্টন তৈরি হচ্ছে সাড়ে ৪ কেজি, ৯ কেজি ও ১০ কেজি ওজনের। এরপর তা পাঠানো হচ্ছে চট্রগ্রাম বন্দরে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক জানান, উচ্চ ফলনশীল ও রপ্তানিযোগ্য আলুর জাত বেশি করে চাষ করলে রপ্তানির পরিমাণ বাড়বে। আর লাভবান হবে কৃষকরা।