বাংলাদেশের প্রথম পরিবেশ- বান্ধব বিদ্যুৎ প্লান্ট তৈরি করছে চীন। পটুয়াখালি জেলায় অত্যাধুনিক পরিশোধন কয়লা প্রযুক্তি-সংবলিত পরিবেশ-বান্ধব বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ধরনের প্রকল্প বাংলাদেশে এই প্রথম। এ খবর জানিয়েছে চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া।
গত বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশ ১৫৬ কোটি ডলারের প্রকৌশল, ক্রয় ও নির্মাণ (ইপিসি) চুক্তি করে চীনা দুটি কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত দুটি চীনা প্রতিষ্ঠানের সাথে।
এই প্রকল্প থেকে ১,৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে বলে জানা যায়। প্রথম ধাপে ২০১৯ সালে দুটি ইউনিট জাতীয় উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নাসরুল হামিদ সম্প্রতি নির্মাণ এলাকা পরিদর্শন করে কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন, চীন সরকারের অর্থায়ন এবং চীনা এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটি নির্মাণ করছি। আমরা প্রকল্পটির অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট।’
তিনি বলেন, ‘চীনা কোম্পানিগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তাদের কাজ সম্পন্ন করে। তাদের কাজের মান ভালো। আমরা এই প্লান্টে ব্যয়সাশ্রয়ী সুবিধা পাব। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে যেসব বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মিত হয়েছে, এটি তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো।’
পুরো প্রকল্পের মোট ব্যয় ১৫৬ কোটি ডলার। এটি ৩৯৭ হেক্টর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০৩০ সাল নাগাদ ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি কয়লা-চালিত বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিদ্যুৎ প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য একই সক্ষমতা ও প্রযুক্তির আরেকটি মেগা প্রকল্প, ১০০ মেগাওয়াট সৌর এবং ৫০ মেগাওয়াটের বাতাস-চালিত বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার।