প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকুলে থাকার কারণে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পশ্চিমাংশ এবং রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ এলাকা জুড়ে নারিকেল, সুপারি’র বাগান বিস্তৃর্ত। ব্যবসায়ীগণ এ এলাকার নারিকেল, সুপারি বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। এমনকি নারিকেল, সুপারি দেশের বাহিরেও রপ্তানি করা হয়ে থাকে। নারিকেল, সুপারি বিদেশে রপ্তানি করার ফলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়। এ ছাড়া নারিকেল, সুপারি বিভিন্ন শিল্প কারখানার কাচামাল হিসেবেও ব্যবহুত হয়। এ জেলার সুপারি আকারে বড় এবং খেতে সুস্বাদু।
এখানকার প্রায় দেড় হাজার একর জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। এসব বাগান থেকে উৎপাদিত সুপারি থেকে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছরও এখানে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৯৩ টন সুপারি উৎপাদন হয়। অন্যদিকে এ সময় সারা দেশে উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৬৬৩ টন সুপারি। অর্থাৎ দেশে উৎপাদিত সুপারির প্রায় ৪৮ শতাংশই উৎপাদন হয় লক্ষ্মীপুরে।
তবে এখানে সুপারি উৎপাদন হয় সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে। বসতভিটা বা ফসলি জমির পাশে, বাড়ির আঙিনায়, পুকুরপাড়, রাস্তার দুই পাশ ও পরিত্যক্ত জমিতে সুপারি চাষ করা হয়।
মৌসুমের শুরুতেই সুপারি বিক্রির বড় হাট বসে লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর তেমুহনী, সদর উপজেলার দালাল বাজারে। এছাড়া চরুহিতা, ভবানীগঞ্জ, মান্দারী, জকসিন, রায়পুর উপজেলার হায়দরগঞ্জ বাজার, খাসের হাট, মোল্লারহাটসহ জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সুপারি ঘিরে চলে জমজমাট ব্যবসা। সপ্তাহের দুদিন বেচাকেনা হয় এখানে। প্রতি হাটবারে ১০-৫০ লাখ টাকার সুপারি বেচাকেনা হয়।