স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশে নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নেই। তিনি বলেন,আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত চৌকস। সন্ত্রাস ও জঙ্গিদের ব্যাপারে সারাদেশেই গোয়েন্দারা সতর্ক রয়েছে।রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র মিলনায়তনে আজ আওয়ামী সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত ‘৩ নভেম্বর জেল হত্যা ও ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা হত্যা দিবস’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,পচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর ৩ নভেম্বরের হত্যাকান্ড ছিল দেশকে পিছিয়ে দেয়ার এক সুগভীর চক্রান্ত। এটি ছিল ইতিহাসের অত্যন্ত নেক্কারজনক ও জগন্যতম হত্যাকান্ড।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যারা দেশের নেতৃত্ব দিতে পারতো, যাদের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হতে পারতো, ওইসব জাতীয় নেতাদের হত্যা করে দেশের উন্নয়ন-সমৃদ্ধি থামিয়ে দেয়া হয়। খুনি মোস্তাকের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের নিয়ে আরাম-আয়েশে থাকতে এবং তার মসনদ পাকাপোক্ত করতেই এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। জাতীয় চার নেতা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত বিশ্বস্থ সহচর ও যোগ্য নেতা। তারা জীবন দিয়ে প্রমান করে গেছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাইরে একটুও বিচ্যুত হননি।
তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের বেছে বেছে হত্যা করা হয়েছিল।এর কারণ ছিল তারা যাতে সংঘটিত হতে না পারেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে বিশ্বদরবারে প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি খেতাবে ভূষিত হয়েছেন।