জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদান শেষে সোমবার সকালে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজ রোববার স্থানীয় সময় সকাল সোয়া সাতটায় যুক্তরাজ্যের লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে কয়েক ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেন। খবর সমকালের।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে গত ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী। ২৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেন তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পাশাপাশি নেদারল্যান্ডসের রানি ম্যাক্সিমা, এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্রেস্টি কালজুলেইদ ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
শেখ হাসিনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট, সাইবার নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা ও বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য সমস্যা নিয়ে কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি ইউএস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ ও গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস (আইপিএস) প্রদত্ত সম্মানজনক ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ গ্রহণ করেন। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয়দানের মাধ্যমে মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করায় তাকে এই পদকে ভূষিত করা হয়।
পাশাপাশি দূরদৃষ্টির মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলার জন্য গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশনের পরিচালনা পর্ষদ প্রধানমন্ত্রীকে ‘২০১৮ স্পেশাল রিকগনাইজেশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করে। শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত সংবর্ধনায়ও যোগ দেন।