দেশে মোট চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয় বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানিয়েছেন। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত আসনের লুৎফা তাহেরের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য দেন তিনি।
নাসিম জানান, দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল বিশ্বের ১২৭টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জিএমপি (গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস) গাইডলাইন যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় এবং ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের দায়ে ৮৬টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাময়িক এবং ১৯টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের জন্য জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০১৬ এর মধ্যে ৬১টি পদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল ও ১৪টি পদের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিলসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ওষুধ প্রস্তুতকারী কারখানার সংখ্যা ৮৫১টি। এর মধ্যে অ্যালোপেথি ২৬৬টি, ইউনানি ২৬টি, আয়ুর্বেদিক ২০৭টি, হোমিওপ্যাথি ৭৯টি ও হার্বাল ৩২টি। এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে অনুমোদিত ২৬ হাজার ৯১০টি ব্র্যান্ডের অ্যালোপেথিক ওষুধের বাজারে রয়েছে।