একদিনে ১৫ হাজার আপেল বিক্রি হয়েছে। একজন ক্রেতাই সব কিনেছেন। কোথায় খুশি হবেন। তা নয়, কর্মীদের কাজ থেকে ছাড়িয়েই দিলেন দোকান মালিক!কিউবার হাভানায় একটি সুপার মার্কেটে এমনই ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার সময় ওই সুপার মার্কেটে হাজির ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক লোরেল সানচেজ। শুক্রবার নিজের ব্লগে গোটা ঘটনা তুলে ধরেন তিনি। সেখানে তিনি লেখেন, কয়েকজন যুবককে নিয়ে দোকানে ঢোকেন এক ব্যক্তি। তিনি সরাসরি ক্যাশকাউন্টারে চলে যান। তার সঙ্গীরা তড়িঘড়ি ১৫০টি আপেলের বাক্স তুলে নেন। তার পর ওই ব্যক্তি সব আপেলের দাম মিটিয়ে সঙ্গীদের নিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই বেরিয়ে যান দোকান ছেড়ে।
ওই ১৫০টি বাক্সের এক একটিতে ১০০টি করে আপেল ছিল বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টি সামনে আসতেই খোঁজ নেয় সে দেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থা ‘গ্র্যানমা’।তাতে জানা যায়, ঘটনার পরেই ৮ কর্মীকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেন সুপার মার্কেট কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু কেন এমন পদক্ষেপ?
আসলে ফিদেল কাস্ত্রোর দেশে এমন ঘটনা নতুন নয়। যার নেপথ্যে রয়েছে দেশে ফল, দুধ, ঘি, মাখন এবং পানীয়ের ঘাটতি। ১৯৭৬ সালে সোভিয়েতের অনুকরণে একটি আইন পাশ হয় সে দেশে। সেই অনুযায়ী ফল, দুধ, ঘি-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব সামগ্রীই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। সেই সময়ে কোনও সমস্যা না হলেও এখন পরিস্থিতি বদলেছে।
এই মুহূর্তে কিউবার জনসংখ্যা ১ কোটি ১৫ লক্ষ। শুধুমাত্র আমদানি করা পণ্যে এত সংখ্যক মানুষের চাহিদার জোগান দিতে প্রায়শই সমস্যা দেখা দেয়।তাই কালো বাজারির রমরমা বেড়েছে। একসঙ্গে অনেক জিনিসপত্র কিনে মজুত রাখেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। পরে সুযোগ বুঝে চড়া দামে সেগুলি বিক্রি করেন তাঁরা।
কালো বাজারি রুখতে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয় কিউবার ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিকে। চাইলেই যত ইচ্ছা সামগ্রী বিক্রি করা যায় না। যে সুপার মার্কেটে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি সরকারি সংস্থার আওতায়। তাদেরওএই নিয়ম মেনে চলতে হয়। অন্যথা হওয়াতেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়েছে।