‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিটি নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। বিরোধীদলের অনেক নেতা এটিকে প্রচারমূলক সিনেমা বলে অভিহিত করেছেন। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলেছেন, এই সিনেমার মাধ্যমে গোটা দেশ সত্য জানার সুযোগ পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই ছবির প্রশংসা করেছেন।
জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ডা. ফারুক আব্দুল্লাহ মঙ্গলবার (২২ মার্চ) গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, এটি (‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবি) একটা প্রোপাগান্ডা মুভি। এটি এমন একটি ট্র্যাজেডির জন্ম দিয়েছে যা রাজ্যের প্রতিটি মনকে প্রভাবিত করেছে। হিন্দু এবং মুসলিম-সবাইকে একইভাবে। ওই ট্র্যাজেডির জন্য আমার হৃদয়ে এখনও রক্তক্ষরণ হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর একটি উপাদান ছিল যারা জাতিগত নির্মূলে আগ্রহী ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা তৎকালীন রাজ্যপাল জগমোহন মালহোত্রাকে ভুলতে পারি না, যিনি পণ্ডিতদের বাসে তুলে দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে আমরা আপনাদেরকে দুই মাসের মধ্যে ফিরিয়ে আনব, কারণ আমাকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। এবং এটি আপনাদেরকে প্রভাবিত করতে পারে। ৩২ বছর হলো, কাশ্মীরি পণ্ডিতরা কোথায়? আমি মনে করি না যে আমি ওই ঘটনার জন্য দায়ী।’
ফারুক আবদুল্লাহ আরও বলেন, সে সময় আমি সেখানে শাসন ক্ষমতায় ছিলাম না। জগমোহন আসতেই হার মেনেছি। আমি বললাম পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করুন। তার শাসনের প্রথম দিনেই ৫০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। তিনি কী পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছিলেন? মানুষ যদি সত্য জানতে চায়, তাহলে তাদের কথা বলা উচিত তৎকালীন ‘আইবি’ প্রধান বা তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বর্তমান কেরালার রাজ্যপাল আরিফ মুহাম্মাদ খানের সঙ্গে।
ফারুক আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘যখন আপনি একজন সৎ বিচারক বা কমিটি নিয়োগ করবেন, তখন পুরো সত্য বেরিয়ে আসবে। ওই ঘটনার জন্য কারা দায়ী তা জানতে পারবেন। ফারুক আবদুল্লাহ দায়ী হলে ফারুক আবদুল্লাহ দেশের যেকোন প্রান্তে ফাঁসিতে ঝুলতে প্রস্তুত। আমি বিচারের জন্য প্রস্তুত, কিন্তু যারা এ জন্য দায়ী নয় তাদের দোষারোপ করবেন না।’
কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপর অত্যাচারের ঘটনা দেখানো হয়েছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ ছবিতে। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলোতে ছবিটি করমুক্ত করা হয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী এবং ছবিতে অভিনয় করেছেন বিখ্যাত অভিনেতা অনুপম খের ও অন্যরা।সূত্র:পার্সটুডে