রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে পাস হওয়া দুটি বিলে সম্মতি দিয়েছেন। সম্মতি দেয়া বিল দুটি হচ্ছে- আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল, ২০১৮ এবং কবি নজরুল ইনস্টিটিউট বিল, ২০১৮। গতকাল মঙ্গলবার সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সর্বোচ্চ শাস্তি মেয়াদ বৃদ্ধি করে গত ১১ ফেব্রুয়ারি সংসদে আইন-শৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল, ২০১৮ পাস করা হয়। ঐ দিন সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কন্ঠভোটে তা পাস হয়। এর আগে গত ২২ জানুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সে সময় বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। সংসদীয় কমিটি গত ২৮ জানুয়ারি বিলের প্রতিবেদন সংসদে জমা দেয়। বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (১) এ উল্লেখিত পাঁচ বছরের পরিবর্তে সাত বছর শব্দগুলো প্রতিস্থাপন করায় সাজার মেয়াদ ৫ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৭ বছর করা হয়েছে। এছাড়া বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ৮ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লেখিত সরকার বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটকে উক্ত আদালতের বিচারক নিযুক্ত করবে শীর্ষক নতুন (২) উপ-ধারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
নজরুল ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ রহিত করে নতুন করে আইন প্রণয়ন করতে প্রয়েজনীয় বিধান করে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সংসদে কবি নজরুল ইনস্টিটিউট বিল-২০১৮ সংশোধিত আকারে পাস করা হয়। ঐ দিন সংসদে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কন্ঠভোটে তা পাস হয়। বিলে ইনস্টিটিউটের প্রধান কার্যালয় ঢাকা এবং প্রয়োজনবোধে সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে দেশের যে কোন স্থানে এর শাখা কার্যালয় স্থাপন করার বিধানের প্রস্তাব করা হয়। বিলে একজন স্বনামধন্য নজরুল বিশেষজ্ঞ বা গবেষককে চেয়ারম্যান করে ৯ সদস্যের একটি ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের বিধান করা হয়।