সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, চারশ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী ধানমণ্ডি শাহী ঈদগাহ মোঘল স্থাপত্য নিদর্শনাদির মধ্যে অন্যতম প্রাচীন একটি নিদর্শন এবং এটিকে ঢাকার প্রথম পরিকল্পিত ঈদগাহ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এ শাহী ঈদগাহের ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৯.৫ লক্ষ টাকা এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২২ লক্ষ টাকার সংস্কার, সংরক্ষণ ও উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করেছে।
চলতি অর্থবছরে আরো প্রায় ৭ লক্ষ টাকার উন্নয়ন কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রাচীন ঈদগাহটির রক্ষণাবেক্ষণে প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট অর্থ (২-৩ লক্ষ টাকা) বরাদ্দ দেয়া হবে। তাতেও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ না হলে বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমণ্ডি প্রাচীন শাহী ঈদগাহ প্রাঙ্গণে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ধানমণ্ডি প্রাচীন শাহী ঈদগাহ এর সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রমের সমাপনী ও ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, ধানমণ্ডি শাহী ঈদগাহের ভেতরে ও বাইরে প্রচুর খোলা জায়গা রয়েছে। সেখানে প্রয়োজনে উদ্যানতত্ত্ববিদের সহযোগিতা নিয়ে সবুজায়নের ব্যবস্থা করা যায়। ঈদগাহের বাইরের জায়গা দখলমুক্ত রাখার ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় বর্তমানে যে ৫০৪টি সংরক্ষিত পুরাকীর্তি রয়েছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। তিনি বলেন, আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত মোঘল আমলের এ নান্দনিক স্থাপনা সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. হান্নান মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ধানমন্ডি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবলা, ধানমণ্ডি প্রাচীন শাহী মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি আলহাজ্ব মো. আতিকুল হাবিব প্রমুখ৷