ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ তম স্থান দখল করেছে। আমরা খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করলেও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে অসময়ে ফসল হানি হয়। তাই বোরো ও আমন পাশাপাশি আউশ মৌসুমেও হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ ও সম্প্রসারণ জরুরি বলে জানিয়েছেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।
শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষি গবেষনা কাউন্সিলের সম্মেলন কক্ষে হাইব্রীড ধানের অব্যবহৃত সম্ভাবনা কাজে লাগানো শীর্ষক এক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ রাইস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ এম মুয়াজ্জেম হুসাইনের সভাপতিত্বে সংলাপে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সীড এসোসিয়েশনের প্রেসিডেট এম আসিন উদ দৌলা সহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সংস্থার প্রধান ও কৃষিবিজ্ঞানীগণ। সংলাপটি পরিচালনা করেন রাইস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. সৈয়দ এবি সিদ্দিকী।
সংলাপে কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান বলেন, হাইব্রিড জাতের ধান আবাদ ও সম্প্রসারণ জরুরি। বিশেষ করে পাহাড়ি এলাকায় জুম চাষে এবং দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ততা এলাকার জন্য। বাংলাদেশে জনপ্রিয় ধানের জাত ব্রি ধান ২৮, ২৯ এবং ৫৮ পাশাপাশি মানসম্পন্ন হাইব্রিড ধানের বীজ উৎপাদন এবং সঠিক মূল্যে চাষী পর্যায়ে পৌছানোর জন্য সকলকে পরামর্শ দেন তিনি। বক্তারা বলেন, বিগত দশ হাজার বছর যাবৎ ধান মানব জাতির পুষ্টি ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যার খাদ্যশস্য হিসেবে ধান ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হাইব্রীড ধানের জনক চাইনিজ কৃষি বিজ্ঞানী লং পিং ইউয়ান এর অবদান আজ বাংলাদেশে উচ্চ ফলনশীল ধানের পাশাপাশি হাইব্রিড খাদ্য উৎপাদন ও স্বয়ংসম্পূর্নতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।