ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘পদ্মভূষণ’ প্রদানের জন্য সুপারিশ করেছে বিসিসিআই। ভারতের জার্সিতে ৩০২টি ওয়ানডে, ৯০ টি টেস্ট ও ৭৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ধোনি।
অধিনায়ক হিসেবে তার হাত ধরেই ২৮ বছর পর ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। জিতেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপাও। তাই ভারতের সফলতম অধিনায়ক ধোনি ছাড়া এই পুরস্কারের জন্য এবার আর কোনো নাম পাঠায়নি বিসিসিআই।
এর আগে ‘অর্জুন পুরস্কার’, ‘রাজীব গান্ধী খেলরত্ন’ ও ‘পদ্মশ্রী’তে ভূষিত হয়েছেন ধোনি। ধোনির মাথায় পদ্মভূষণের পালক জুড়লে তিনি হবেন এই পুরস্কার জয়ী একাদশতম ভারতীয় ক্রিকেটার। অতীতে কপিল দেব, সুনীল গাভাস্কার, রাহুল দ্রাবিড়, শচীন টেন্ডুলকার, সিকে নাইড়ু এবং লালা অমরনাথ পদ্মভূষণ পেয়েছেন।
২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামে ওয়ানডে অভিষেক হয় ধোনির। এরপর ২০০৭ বিশ্বকাপে জঘন্য পারফরম্যান্সের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার কাঁধে নেতৃত্বের ব্যাটন তুলে দেওয়া হয়। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিয়েই প্রথমবারে ভারতকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করেন ধোনি।
৪ বছরের ব্যবধানে ওয়াংখেড়েতে ক্যাপ্টেন কুলের নেতৃত্বেই ওয়ানডে বিশ্বকাপেও চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। ২০১৩ ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মুকুট জেতে ধোনির ইন্ডিয়া।
৩০২ ওয়ানডে ম্যাচে একাধিক রেকর্ড ভেঙ্গেছেন ধোনি। শ্রীলঙ্কা সফরে তৃতীয় ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের ৩০০তম ম্যাচে অপারাজিত থেকে মাঠে ছাড়েন সাবেক ভারত অধিনায়ক। শন পোলকের ৭২বার অপরাজিত থাকায় রেকর্ড ভেঙে নতুন রের্কড গড়েছেন ধোনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ৭৪বার অপরাজিত থাকায় নতুন রেকর্ড এখন ধোনির দখলে। এছাড়াও চলতি বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০০ স্টাম্পিয়ং এবং সব ফরম্যাট মিলিয়ে ১০০ হাফ সেঞ্চুরির ইতিহাস গড়েছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’।