সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে ধোঁয়াবিহীন তামাকের মহামারি ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশের নাম।
U.S centers for disease control and prevention I U.S National cancer institute at india’s school conference on tobacco or health in Mumbai এর যৌথ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত 2014 smokeless tobacco and public health: A global perspective নামক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে যা ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত একটি কনফারেন্সে গত ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ প্রকাশ করা হয়।
সারা বিশ্বে যে পরিমান ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবন করা হয় তাঁর ৮৬ শতাংশ হয় বাংলাদেশ ও ভারতে।
এক জরিপে বলা হয়, বিশ্বের ৭০টি দেশের ৩০কোটি মানুষ তামাকজাত পণ্য সেবন করে। ভারতে প্রতিবছর নতুন করে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার মানুষ ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়।
১৩ থেকে ১৫ বছরের ছেলেমেয়েদের মধ্যে সিগারেটের চেয়ে ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশী বলে জানান।
জরিপে আরও বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ধোঁয়াবিহীন তামাকের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। কেবল বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতে বসবাস করে বিশ্বের মোট ৮৬ শতাংশ ধোঁয়াবিহীন তামাক সেবনকারী। এদের মধ্যে নারী সেবনকারী (বিশেষ করে ভারতে ও বাংলাদেশে) সংখ্যা বেশী।
ধোঁয়াবিহীন তামাকের ব্যবহারে মুখগহ্বর, খাদ্যনালী ও অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার সৃষ্টি, প্রজনন সমস্যা (মৃত শিশু ও কম ওজনের শিশু জন্ম) হয়। এছাড়া হৃদরোগ, ডায়বেটিস এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে বলে প্রতিবেদননে উল্লেখ করা হয়েছে।
(সংক্ষেপিত)
লেখক: অধ্যাপক ড. অরুপরতন চৌধুরী
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মানস (মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা)