ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর নকল ঔষধ ও তৈরির সরঞ্জামসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ আঃ সোবাহান, মোঃ নাইমুর রহমান ওরফে তুষার, মোঃ রিয়াজুল ইসলাম ওরফে মৃদুল, মোসা: নারগিছ বেগম ও মোঃ ওয়াহিদ। গত ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তাদের হেফাজত হতে প্রিন্টার মেশিন, রংয়ের কৌটা, তৈরির ও মেয়াদ উত্তীর্নের তারিখ, মূল্য, ব্যাচ নং ইত্যাদি লেখা সহ বিভিন্ন প্রকার সীল, Jayson কোম্পানীর পানির বোতল 5 ml-৩০০ পিচ, সেক্স পাওয়ার ক্যাপসুল মোট ৮৪,০০০ পিচ, Actrapid 10 ml ৬৫ পিচ ইনসুলিন, Mixtard 30 ml ৫ পিচ ইনসুলিন, জি পেথিডিন ইনজেকশনের খালি কাঁচের বোতল-১৬২৫ টি, একটি এয়ার হটগান, জি পেথিডিন ইনজেকশনের প্লাস্টিকের ট্রে ছোট ১ বস্তা, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ লেখা জি পেথিডিন ইনজেকশনের ফুয়েল পেপার (স্টীকার) ০১ রোল, প্রিমিয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ এর Alat লেখা ঔষধের ফুয়েল পেপার ইত্যাদি জব্দ করা হয়।
আজ বেলা ১১.৩০টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোঃ আবদুল বাতেন পিপিএম।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিবি বলেন, এই চক্রটি ভেজাল ঔষধ বানিয়ে বিভিন্ন নামিদামি ঔষধ কোম্পানীর মোড়ক ব্যবহার করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। ঔষধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে তারা নিজেরা সীল মেরে মেয়াদ বর্ধিত করে থাকে। নকল ও ভেজাল ঔষধ থেকে বাঁচতে ঔষধ কেনার পূর্বে ভালো মানের ফার্মেসী থেকে ঔষধ ক্রয় করা উত্তম। এই চক্রটি সাধারণত নরমাল অখ্যাত ফার্মেসীগুলোতে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ঔষধ সাপ্লাই দিয়ে থাকে। এরা সাধারণত নিম্ন আয়ের মানুষের বসবাসস্থল টার্গেট করে ভেজাল ঔষধ সাপ্লাই দেয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামী মোঃ আঃ সোহাবান দীর্ঘ দিন একাধিক ঔষধ কোম্পানীর ঔষধ নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে নকল ঔষধ, লেভেল ইত্যাদি তৈরী করে নিজেই ঔষধের গায়ে সকল তথ্য সম্বলিত সীল দেয়। তাছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিভিন্ন ভাবে সংগ্রহ করে দেশীয় পদ্ধতিতে ঔষধের গায়ে মেয়াদ, ব্যাচ নং, মূল্য ইত্যাদি নতুনভাবে সংযোজন করে পূনরায় বাজারজাত করে।