ডিএমপি নিউজঃ গৃহ পরিচারিকা বা দারোয়ানের দায়িত্ব হলো বাসা-বাড়ির নিরাপত্তা দেওয়া, নিরাপদে রাখা, এটা স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু সেই গৃহ পরিচারিকা বা দারোয়ানই বাসার মূল্যবান মালামাল নিয়ে লাপাত্তা। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে মিরপুর পল্লবী থানা এলাকায়। উক্ত ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- তাহমিনা খাতুন ওরফে শিরিন ও মোঃ রফিকুল ইসলাম।
গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার, ২টি ঘড়ি, ১টি ল্যাপটপ এবং নগদ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ বুধবার (৩০ নভেম্বর ২০২২ খ্রি.) বেলা ১২ টায় ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।
তিনি বলেন, গত সোমবার (২৮ নভেম্বর ২০২২ খ্রি.) সকাল আনুমানিক ০৮:১৫ টা হতে সকাল ১০:০০ টার মধ্যে পল্লবী থানার মিরপুর ডিওএইচএস-এ একটি বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি দৃষ্টিগোচর হওয়ার সাথে সাথে মিরপুর বিভাগের পল্লবী জোনাল টিম ছায়া তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গোয়েন্দা প্রধান বলেন, গ্রেফতারকৃত তাহমিনা খাতুন ও রফিকুল ইসলাম সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। তারা উভয়ে ওই বাসায় দারোয়ানের কাজ করতেন। ওই বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন পারুল নামের এক নারী। তারা তিনজন মিলে প্রায় এক মাস আগে ওই বাসায় চুরির পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৮ নভেম্বর বাড়ির গৃহকর্ত্রী কর্মস্থলে গেলে তারা তিনজন মিলে ওই বাসায় চুরি করে পালিয়ে যায়। পলাতক গৃহপরিচারিকা পারুল বেগমকে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।
কোন গৃহপরিচারিকা বা দারোয়ান বাসায় রাখলে তার এনআইডি, মোবাইল নম্বর, নিকট আত্মীয়ের মোবাইল নম্বর রাখাসহ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন গোয়েন্দা এ পুলিশ কর্মকর্তা।