ঢাকা নদী বন্দর এলাকায় দখলমুক্ত করা জায়গায় ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ।
শনিবার সকালে কামরাঙ্গীরচর খোলামোরা ঘাট এলাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ চৌধুরী এ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তার বক্তব্যে বলেন, কেউ নদী দখল করার চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
আর খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আাগামী ১০ বছরের মধ্যে নদীকে দুষনমুক্ত করা হবে।
অবৈধ জায়গায় কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থাকলে তা অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হবে। এই কর্মকাণ্ডে কেউ বাধা দিতে আসলে কোন ছাড় দেওয়া হবেনা।
বিআইডব্লিউটিএ’র প্রকল্পের আওতায় বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরে ভূমি সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে, কিওয়ালসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
নদীর তীরে ৫২ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে ছাড়াও ১০ হাজার ৮২০ টি বৃষ্টি সীমানা পিলার স্থাপন করা হবে, নির্মাণ করা হবে তিনটি ইকোপার্ক, ১৯টি আরসিসি জেটি, ১০০ টি আরসিসি সিঁড়ি, ৪০৯টি বসার বেঞ্চ, ৪৪ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার নদীর তীর রক্ষাসহ আনুষাঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ করা হবে।
এ প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৪৪কোটি ৫৫ লাখ টাকা, যা ২০১৮ সালের জুলাই হতে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।