ডিএমপি নিউজ: রাজধানীতে নবাব পরিবারের সন্তান ও মন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতদের নাম- নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী (৪৮), মোঃ রাশেদ ওরফে রহমত আলী ওরফে রাজা (৩৪), মীর রাকিব আফসার (২০), মোঃ সজীব ওরফে মীর রুবেল (৩৩), মোঃ আহম্মদ আলী (৩৮), মোঃ বরকত আলী ওরফে রানা (৩২)।
সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ তৌহিদুল ইসলাম বিপিএম(বার) ডিএমপি নিউজকে জানান, মোহাম্মদপুর থানায় গত ২৪ অক্টোবর, ২০২০ বিদেশে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করার অভিযোগে একটি মামলা রুজু হয়। অভিযোগে বলা হয়, করোনার কারণে সিংগাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ৫শত লোক নিয়োগ দেয়া হবে মর্মে মামলার বাদীকে বিদেশ যেতে আগ্রহী ৪শত লোক সংগ্রহ করতে বলেন নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী। তার কথায় বিশ্বাস করে বাদী বিদেশ গমনে আগ্রহী এরকম ৪শত লোকের কাছ থেকে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা সংগ্রহ করে তাকে প্রদান করে। টাকা পেয়ে কাউকে বিদেশে না পাঠিয়ে বাদীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
মামলার তদন্ত প্রাপ্ত হয়ে ২৮ অক্টোবর, ২০২০ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে সিটিটিসির ইকোনমিক ক্রাইম এন্ড হিউম্যান ট্রাফিকিং টিম। এসময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত নবাব পরিবারের এ্যাম্বুশ সীল, ওয়াকিটকি সেট(বেতারযন্ত্র, ভিওআইপি সরঞ্জাম, ল্যাপটপ, একাধিক মোবাইল, সিমকার্ড, মেডিক্যাল রিপোর্ট ও পাসপোর্টের কপি ও বিভিন্ন ভূয়া কোম্পানীর লিফলেট উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি জানান, এই চক্রটি ১০ কোটি টাকার বেশি প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক চক্রের প্রধান গ্রেফতারকৃত নবাব খাজা আলী হাসান আসকারী নিজেকে নবাব সলিমুল্লাহ খাঁনের নাতি হিসেবে পরিচয় দেন। পারিবারিক সম্পর্কের দাবী করে বিভিন্ন লোকের কাছে গণভবনে তার অবাধ যাতায়াত বলে প্রচারণা করে। তার দুবাইয়ে আছে গোল্ডের কারখানা। বাবা ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, থাকেন নিউইয়র্কে। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের মালিকানায় অংশীদার রয়েছে বলে ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে। বাবার ব্যবসা সে নিজেই দেখে। ফেসবুক প্রোফাইলে মন্ত্রী-এমপিসহ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ছবি উঠান। পরবর্তী সময়ে সেই ছবি প্রতারণার কাজে ব্যবহার করে।