নরওয়ের উত্তরাঞ্চলে গত কয়েকদিনে পণ্যবাহী ট্রেনের ধাক্কায় শতাধিক বলগা হরিণের মৃত্যু হয়েছে। এই হরিণ শীতকালীন অবস্থান পরিবর্তনের জন্য চলাচলের সময়ে এই ঘটনা ঘটে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এনআরকে জানিয়েছে, শনিবার একটি ট্রেনের ধাক্কায় ৬৫টি হরিণের মৃত্যু হয়েছে, বুধবার ও শুক্রবারে মারা গেছে আরো ৪১টি। ৬৫টি বলগা হরিণের মালিক ওলে হেনরিক কাপজেল বলেন, আমি এতটাই রাগান্বিত যে আমার মাথা ঝিমঝিম করছে। এটা একটা অর্থহীন পশু ট্র্যাজেডি, মানসিকভাবে দুঃস্বপ্নের মত।
নরওয়েতে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার বলগা হরিণ রয়েছে যার অনেকগুলো প্রায় গবাদি পশুর মত পালন করা হয়। এদের বেশিরভাগ দেশটির উত্তরাঞ্চলে। বছরের এই সময়ে হরিণের দল নিয়ে নতুন চারণক্ষেত্রে গমন করে এর পালকরা। এই পথে হরিণগুলো গাড়ি, ট্রেনের ধাক্কায় মারা যায়, অনেক হরিণ পানিতে ডুবেও মারা যায়।
ট্রেনের ধাক্কায় বলগা হরিণগুলো গুরুতর আহত হয়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে। তাদের গুলি করে যন্ত্রণার অবসান করা হয়। সাদা তুষার হরিণের রক্তে লাল হয়ে যায়। এর ছবি তোলা ডকুমেন্টারি ফিল্ম মেকার জন এরলিং উটসি বলেন, এটা দেখা ছিল দুঃস্বপ্নের মত। সবচেয়ে খারাপ বিষয়টা ছিল যে প্রাণীগুলো ট্রেনের আঘাতে মরেনি, বরং আহত হয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। কয়েক কিলোমিটার ধরে রক্তের বন্যা নেমে এসেছিল।
জানা গেছে ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত নরওয়ের সেই রেললাইনে ২ হাজারের বেশি বলগা হরিণের প্রাণ গেছে। হরিণের মালিকরা রেললাইনের দুই পাশে বেড়া দেয়ার আহ্বান জানালেও এই খাতে কোনো অর্থ এখনো বরাদ্দ দেয়নি সরকার।