স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বোনু পিয়েরে লারা আজ তাঁর কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎ করলে স্পিকার এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। হাইকমিশনার বাংলাদেশে তার দায়িত্বপালনকালীন বিভিন্ন বিষয়ে স্পিকারের সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাথে কানাডার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি সাধন করছে। বর্তমান সরকার দেশে একশটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে এবং এতে দেশ বিদেশের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
স্পিকার বাংলাদেশে নারীর উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, নারীদের সুযোগ করে দেয়া হলে তারা নিজেরাই নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে সক্ষম।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী আসন্ন ৬৩তম সিপিএ সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠানের বিষয়ে হাইকমিশনারকে অবহিত করে বলেন, সিপিএ’র কার্যনির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে কানাডার পার্লামেন্ট সদস্যগণ রয়েছেন। তিনি বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় সিপিএ সম্মেলনে কানাডার একটি বড় সংসদীয় দল অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্পে বেশকিছু আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
এর ফলে এখাতে বিদেশি ক্রেতাগণ আরো আকৃষ্ট হবেন এবং বাংলাদেশের রপ্তানী আয়ও বৃদ্ধি পাবে। তিনি নারী উন্নয়নে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করেন।