ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে তাদের ভিত নাড়িয়ে দিল ধুঁকতে থাকা নিউক্যাসল। রবিবার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ১-০ গোলে জিতে দলটি।
এই নিয়ে প্রিমিয়র লিগের শেষ তিন ম্যাচের মধ্যে দু’টিতেই হারের স্বাদ নিল হোসে মরিনহোর শিষ্যরা। এই হারের কারণে শীর্ষ পয়েন্ট ধারী ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ১৬ পয়েন্টে পিছিয়ে রয়েছে তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দলটি। এই জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের ১৩তম স্থানে উঠে এসেছে রেলিগেশন জোনে থাকা ক্লাবটি।
সবশেষ অ্যাওয়ে ম্যাচে টোটেনহ্যামের কাছে পরাজিত হয়েছিল ইউনাইটেড। রবিবার সেন্ট জেমস পার্কে গিয়ে ৬৫তম মিনিটে ম্যাট রিচির গোলে আবারো বিরল এক হারের নজির সৃষ্টি করল মরিনহোর দল। এ সময় নিজেদের অর্ধে বিপজ্জনকভাবে ডাইভ দেয়ার অপরাধে হলুদ কার্ড পান ইউনাইটেডের ডিফেন্ডার ক্রিস স্মলিং। এ থেকে প্রাপ্ত ফ্রি-কিক থেকে শট নেন জনজো শেলভি। ওই বলে হেড নেন সতীর্থ ডইট গেইল। সেখান থেকে বলটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ব্যাকহিলে গোল করেন রিচি (১-০)।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ধীরগতির রক্ষণবিভাগ নিউক্যাসলের এই উইঙ্গারের দিকে এতটুকু নজর রাখতে পারেনি। তবে গোলটি পরিশোধ করে খুব দ্রুতই লড়াইয়ে ফেরার দারুণ একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছিল রেড ডেভিলরা। একটি কর্নারের বল নিউক্যাসলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা প্রতিহত করতে ব্যর্থ হলে সেটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জোড়ালো এক শট অ্যান্টনি মার্শাল। এ সময় তার বলটি প্রতিহত করেন গেইল।
খেলা শেষে ইউনাইটেডের কোচ মরিনহো বলেন, ‘নিউক্যাসল পশুর মত লড়াই করেছে। আশা করবো তারা এই জয়কে উপহার হিসেবে গ্রহণ করবে। কারণ ফুটবলের দেবতা তাদের পক্ষেই ছিল। আজ এমনটি হবার কথা ছিল না। তবে নিউক্যাসল তাদের সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছিল। এটিই ফুটবলের একটি নান্দনিক দিক। আমরা রক্ষণভাগে একটি ভুল করেছি। আর ওই সময়েই তারা সবাই আক্রমণভাগে চলে এসেছিল। তাদের একটিই চাওয়া ছিল সেটি হচ্ছে টুর্নামেন্টে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করা।