নিউজিল্যান্ডে আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র লোকজনের কাছ থেকে উদ্ধার করার লক্ষ্যে দেশটি বৃহস্পতিবার বিক্রিত অস্ত্র ফের ক্রয় কর্মসূচি শুরু করেছে। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলায় যে ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে সে ধরনের অস্ত্র মূলত উদ্ধারের জন্য এমন পদক্ষেপ নিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার।
গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী বর্বর হামলার ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইন কঠোর করা হবে এবং তার সরকার মাত্র তিন মাসের মধ্যে তা পরিবর্তন করেছে।
দেশটির পুলিশ বিষয়ক মন্ত্রী স্টুয়ার্ট নাশ বলেন, ‘বিক্রিত অস্ত্র ফের ক্রয়ের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের জনগণের জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এমন যেসব অস্ত্র ইতোমধ্যে বিক্রি হয়েছে সেসব অস্ত্র উঠিয়ে নেয়া। আল-নুর ও লিনউড মসজিদে হামলায় প্রাণহানির ঘটনার পর অস্ত্র অপসারণের এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।’
এ হত্যাকান্ড চালানোর ঘটনায় অভিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন টারান্টের বিরুদ্ধে ক্রাইস্টচার্চের দু’টি মসজিদে হামলায় পাঁচটি অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে সামরিক ধাচের দু’টি আধা-স্বয়ংক্রিয় রাইফেল (এমএসএসএ) রয়েছে।
আধুনিক নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের ঘটনার পর দেশটির আইন প্রণেতারা এমএসএসএ অস্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে ভোট দেন। এতে দেখা যায়, অস্ত্রটি নিষিদ্ধের পক্ষে ১১৯ এবং বিপক্ষে মাত্র এক ভোট পড়ে।
অস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে এমন মালিকদের অস্ত্র জমা দেয়ার জন্য ছয় মাস সময় বেধে দেয়া হয়েছে। এই অস্ত্র জমাদান কর্মসূচির আওতায় এসব অস্ত্র এখন অবৈধ বলে গণ্য। বেধে দেয়া এ সময়ের মধ্যে যারা অস্ত্র জমা দেবে তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে না।
সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার এই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কারো কাছে এ ধরনের অস্ত্র পাওয়া গেলে তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে সন্ত্রাসী বর্বর হামলায় মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে আসা ৫১ মুসলিম নিহত হন। খবর এএফপি’র।