ডিএমপি নিউজঃ নদীর পাশে খালি জমিতে নিজের বোনকে গলা টিপে হত্যার দায়ে আপন বড় ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) একটি দল। ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানাধীন পাঙ্গাশী ব্রীজের উত্তর পাশে ইছামতি নদীর ধারে।
নিজের বোনকে হত্যার দায়ে আপন বড় ভাই মোঃ আশরাফুলকে (২৯) ঢাকার আশুলিয়ায় তার ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার নিকট থেকে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ১১ জুন’১৮ তারিখ আনুমানিক সকাল সাড়ে ৬টার দিকে স্থানীয় লোকজন একটি যুবতীর লাশ উল্লেখিত স্থানে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরবর্তী সময়ে মৃত যুবতীকে আমিনা খাতুন (২৪) বলে সনাক্ত করে স্থানীয় লোকজন। সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের বাবা মোঃ আছান আলী ঘটনাস্থলে এসে লাশটি তার মেয়ে আমিনা খাতুনের বলে সনাক্ত করে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় দশ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পিবিআই সিরাজগঞ্জ জেলা উক্ত হত্যা মামলার বিষয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে গত ১৯ জুন’১৮ তারিখে পিবিআই সিরাজগঞ্জ জেলা মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে।
তদন্তের শুরুতে পিবিআই জানতে পারে, প্রায় আট বছর পূর্বে ভিকটিম আমিনা খাতুনের সাথে একই গ্রামের মোঃ করম আলী শেখ এর ছেলে মোঃ শাহিন (২৫) এর বিবাহ হয়। সংসার করাবস্থায় তার কোন সন্তান হয় নাই। অনুমান তিন মাস পূর্বে আমিনা তার ননদের স্বামী মোঃ শাহিন (৩৫) এর সাথে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশরাফুল জানায়, সে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার নরসিংহপুর এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে বাসা ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রি কাজ করত। তার ছোট বোন স্বামীর সংসার ছেড়ে তার ননদের স্বামীর সাথে পালিয়ে ইপিজেড এলাকায় গার্মেন্টেসে চাকুরী নেয়। আশরাফুল তার ছোট বোনকে ফিরিয়ে আনার জন্য বুঝাতে থাকে। অনেক বুঝানোর পরেও আমিনা ফিরে আসতে রাজী না হলে সে তার ছোট বোনের প্রতি মনেমনে বিক্ষুব্ধ হয়। এক পর্যায়ে সে আমিনার সাথে দেখা করে তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আশুলিয়া হতে নিজ বাড়ীতে নেওয়ার কথা বলে রাতের বেলা ইছামতি নদীর ধারে ঘটনাস্থলে আসে। এরপর আমিনার গলাটিপে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে তার মোবাইল নিয়ে আবার ঢাকায় চলে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আশরাফুলকে ২৪ জুন’১৮ তারিখে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করলে সে অপরাধের কথা স্বীকার করে।