মাস দুয়েক নিখোঁজ থাকার পর নিজের বাড়ি থেকেই মিলল এক প্রৌঢ়ের দেহাবশেষ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, প্রৌঢ়কে ছিড়ে খেয়েছে তাঁরই পোষা ১৮টি কুকুর।
ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ভেনাসে। জানা গিয়েছে, মে মাস থেকেই খোঁজ মিলছিল না ৫৭ বছর বয়সী ফ্রেডি ম্যাকের। বাধ্য হয়েই শেষে পুলিশে খবর দেন তাঁর আত্মীয়রা। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। এলাকায় খোঁজ খবর নেওয়ার পর প্রৌঢ়ের বাড়িতে ঢুকতে গিয়েই বাধা পান পুলিশ কর্মকর্তারা। কারণ, বাড়িতে, ঘরময় তখন ঘুরে বেড়াচ্ছে নিখোঁজ প্রৌঢ়েরই পোষ্য ১৮টি জাদরেল কুকুর। বাধ্য হয়েই তখন ড্রোনের সাহায্য নিতে হয় পুলিশ কর্মকর্তাদের।
প্রৌঢ়ের বাড়ির ভিতরে ড্রোন উড়িয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা দেখেন, বাড়ি-ঘরের কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে হাড়গোড়। এর মধ্যে বেশ কয়েকটিকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলে রেখেছে কুকুরগুলি। খটকা লাগতেই ড্রোনের সাহায্যে ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে থাকা কুকুরের মল আর হাড়ের টুকরোগুলি ভাল করে দেখতেই সব একেবারে দিনের আলোর মতো পরিস্কার হয়ে যায় পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে। মানুষের চুল, জামার ছেঁড়া অংশ মিশে রয়েছে কুকুরের মলের সঙ্গে। অর্থাৎ, আস্ত মনিবকেই খেয়ে নিয়েছে তাঁরই পোষা ১৮টি জাদরেল কুকুর।
তদন্তের দায়িত্বে থাকা জনসন কাউন্টি শেরিফ অ্যাডাম কিং বলছেন, ভেনাস ও তার সংলগ্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় দীর্ঘদিন ওই চত্বরে দেখা যায়নি ফ্রেডিকে। প্রৌঢ়ের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফ্রেডি পোষা ওই ১৮টি কুকুরের ভয়েই তাঁর বাড়িতে যেতেন না তাঁর আত্মীয়রা। ফ্রেডি নিজেই মাঝে মধ্যে সকলের সঙ্গে দেখা করে যেতেন। শান্ত স্বভাবের ফ্রেডি তাঁর পোষা ১৮টি কুকুরের সঙ্গেই বেশির ভাগ সময় কাটাতেন একান্তে। কিন্তু মে মাস থেকে তাঁর কোনও খোঁজ-খবর না মেলায় চিন্তিত হয়ে পড়েন ফ্রেডির আত্মীয়-স্বজন। মাস দুয়েক অপেক্ষার পর শেষমেশ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা।
তদন্তের দায়িত্বে থাকা শেরিফ অ্যাডাম কিং জানান, কুকুরের মল আর হাড়ের টুকরোগুলি ফরেন্সিক ল্যাবোরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে হাড়ের টুকরোগুলির সঙ্গে ম্যাকের ডিএনএ মিলে গিয়েছে। বিস্তারিত ফরেন্সিক রিপোর্ট এলেই ফ্রেডির মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আরও নিশ্চিত ভাবে বলা যাবে।