মায়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারে দেশ থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিল নিরীহ মুসলিম রোহিঙ্গা নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের রোহিঙ্গরা। মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয় দিয়েছিল বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একথা বাংলাদেশসহ বিশ্বের সবদেশই জানে। দিনকে দিন এই রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী মিয়ানমারের নাগরিক সংখ্যা ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৪১০ জন। অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে কাজেই সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
বর্তমানে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কাজ এগিয়ে চলছে। সর্বশেষ হিসাবে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। নারী, পুরুষ এবং শিশুদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন চলছে। গতকাল ৫ সহস্রাধিক রোহিঙ্গা নিবন্ধিত হয়েছে। পাসপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু নোমান মোহাম্মদ জাকের হোসেন এসব তথ্য জানান। যত দিন মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত থাকবে, তত দিন বায়োমেট্রিক নিবন্ধন কার্যক্রম চালু থাকবে বলেও জানান তিনি।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানায়, গতকাল কুতুপালং-১ ক্যাম্পে ৬১০ জন পুরুষ ও ৫০৩ জন নারী, কুতুপালং-২ ক্যাম্পে এক হাজার ২৫৩ জন পুরুষ ও ৯৯৭ জন নারী, নোয়াপাড়া ক্যাম্পে ১৬৪ জন পুরুষ ও ১৬১ জন নারী, থাইংখালী-১ ক্যাম্পে ১১১ জন পুরুষ ও ৮৪ জন নারী, থাইংখালী-২ ক্যাম্পে ১৪১ জন পুরুষ ও ১৩৯ জন নারী, বালুখালী ক্যাম্পে ৭৭৩ জন পুরুষ ও ৭৩৫ জন নারীর বায়োমেট্রিক সম্পন্ন হয়েছে। এই ৬টি কেন্দ্রে মোট ৫ হাজার ৫৭১ জনের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করা হয়।
এই নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অ্যান্ড ইমিগ্রেশন অধিদপ্তর। মোট ৬টি সেন্টারের মাধ্যমে উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।