মহানগরীতে ২৬১টি ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি টিভি) চালুর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। ২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সিসি ক্যমেরাগুলো গত বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে সিসি ক্যামারা থাকায় অপরাধ প্রবনতা অনেকটাই কমে আসছে। এর ফলে এখানে শুক্রবার নির্বেঘ্নে উদযাপন করা হয়েছে বাংলা নববর্ষ। এসব ক্যামেরার নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন জানায়, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ি জনগণের নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা (সিসি টিভি) স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।
বাসসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনায় ২০১৫ সালের শেষের দিকে ৩টি প্রকল্পের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ২৬১টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু করে সিটি কর্পোরেশন। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি এগুলো পরিচালনার জন্য পৃথক বুথ স্থাপন করা হয়।
সূত্র আরো জানায়, নগর ভবন, বান্দ রোডের কর ভবনের সামনে, প্লানেট পার্ক সংলগ্ন ৩ রাস্তার মোড়, রাজাবাহাদুর সড়ক, শেবাচিম হাসপাতালের সামনে, আমতলার মোড়, রুপাতলী বাসর্টামিনাল এলাকা, নথুল্লাবাদ বাসর্টামিনাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের মোড়, সদর গার্লস স্কুল ও বগুড়া রোড এলাকা, সার্কিট হাউজের সামনে, জেলখানার মোড়, সদর রোড, বিএম কলেজ সড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশানার (ডিবি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, সিটি কর্পোরেশন এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সিসি ক্যামেরাগুলো। এর মাধ্যমে অপরাধীরা অপরাধ করলে সহজেই ধরা পড়বে। তাই এর মাধ্যমে অপরাধ প্রবণতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।
সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সিসি ক্যামেরাগুলো স্থাপন কাজ শেষ হলেও বিদ্যুৎ এর অভাবে দীর্ঘদিন চালু করা হচ্ছিলনা। তাই গত শুক্রবার পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়াতে বৃহস্পতিবার থেকে এসব সিসি ক্যামেরা চালু করা হয়। ক্যামেরাগুলো নগরীর অপরাধমূলক কর্মকান্ড রোধে সহায়তা করবে বলে মেয়র আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে নগরীরর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা চালু করায় আনন্দ প্রকাশ করেছে নগরবাসী। এর মাধ্যমে নগরীতে তাদের নিরাপত্তা আরো জোরদার হয়েছে। তাই এসব ক্যামেরা নিয়মিতভাবে চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন নগরবাসী।