সরকার সকলের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে। দেশে চলমান খাদ্য শৃঙ্খলের বিভিন্ন পর্যায়ে বিশেষ করে খাদ্য উৎপাদন থেকে প্রক্রিয়াকরণ পর্যন্ত প্রতিটি প্রক্রিয়ায় যথাযথ মান নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ‘বাংলাদেশ ফুড সেফটি কনফারেন্স ২০১৭’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ প্রণয়ন করেছি। সার, বীজসহ সকল কৃষি উপকরণের মূল্যহ্রাস, কৃষকদের সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা প্রদান, ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগসহ তাদের নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের এসকল পদক্ষেপের ফলে আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি।’
‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ : সকলের সম্মিলিত দায়িত্ব¡’ শীর্ষক খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক দুই দিনব্যাপী আর্ন্তজাতিক সম্মেলন রাজধানীর একটি হোটেলে আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, ফসল উৎপাদনের শুরু থেকে ভোক্তা পর্যন্ত খাদ্য পৌঁছে দেয়ার প্রতিটি স্তরেই আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিবর্তিত জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলা করে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে কৃষি গবেষণার ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
জনগণের নিরাপদ খাদ্যপ্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদন, আমদানি, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ, সরবরাহ, বিপণন ও বিক্রয় সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক পর্যায়ে চিহ্নিত সমস্যাবলি উত্তরণের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে এ সম্মেলন অবদান রাখবে আশা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে আমরা সক্ষম হব- এ আমার প্রত্যাশা।’
প্রধানমন্ত্রী ‘বাংলাদেশ ফুড সেফটি কনফারেন্স ২০১৭’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।