ডিএমপি নিউজঃ প্রত্যেক শ্রেণী পেশার মানুষ পুলিশকে সহযোগিতা করলে নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। সড়কের শৃংখলা ফেরাতে আমরা যে পরিবর্তন শুরু করেছি তার ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ তারিখ সকাল ১১ টায় রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে ট্রাফিক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম বিপিএম।
ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় ট্রাফিক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক (উত্তর) মোসলেহ উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক (দক্ষিণ) মফিজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম, মহাখালী বাস টার্মিনালের সভাপতি মোঃ আবুল কালাম, ঢাকা জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ ছাদেকুর রহমান হিরুসহ ডিএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
ট্রাফিক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করায় সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক বলেন, শ্রমিক-পুলিশ ভাই ভাই নিরাপদ সড়ক চাই। আপনাদের কাছ থেকে পাওয়া এই শ্লোগানটি অত্যন্ত যুগোপযোগী। এটি শুধু শ্লোগানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না। কার্যে পরিণত করতে হবে। সড়কে গাড়ি চালানোর সময় মাথা ঠান্ডা রেখে নির্ধারিত গতিতে গাড়ি চালাবেন। রাস্তায় গাড়ি চলাচলের সময় মনে রাখবেন আপনি যাতে কারও জীবনহানির কারণ না হন। সড়কের শৃংখলা ফেরাতে ও দুর্ঘটনা রোধে সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে। এতদিন সড়কে জেব্রা ক্রসিং ছিল না। বর্তমানে জেব্রা ক্রসিং দৃশ্যমান হয়েছে। রাস্তা পারাপারে অবশ্যই জেব্রা ক্রসিং, ফুটওভার ব্রীজ ও আন্ডারপাস ব্যবহার করুন। আমাদের বিশ্বাস আপনারা এই সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের দিক নির্দেশনা মেনে চলবেন।
ট্রাফিক সচেতনতা সম্পর্কে সাদেকুর রহমান হিরু বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত পরিবহন শ্রমিকদের শিক্ষা দিয়ে থাকি কিভাবে আইন মেনে চলবে, কিভাবে ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। অন্য যেকোন বাস টার্মিনাল থেকে মহাখালী বাস টার্মিনাল অনেক সুশৃংখল।
এ সময় তিনি পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা আমাদেরকে সহযোগিতা করুন আমরাও আপনাদের সহযোগিতা করব। আইনের প্রতি পরিবহন শ্রমিকদের শ্রদ্ধাশীল হওয়ার ক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে টার্মিনালের সেবার মান, পরিবহন শ্রমিকদের শৃঙ্খলা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, ট্রাফিক আইন অমান্য না করাসহ প্রভুতি বিষয়ের উপর পুলিশের পক্ষ থেকে বাৎসরিক পুরস্কারের দাবি জানান তিনি।
এর পরপরই ট্রাফিক সচেতনতামূলক একটি র্যালী মহাখালী বাস টামিনাল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন আমন্ত্রিত অতিথিসহ শ্রমিক-মালিক নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের ট্রাফিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় ট্রাফিক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান।