ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীর খিলগাঁওয়ে বাসায় প্রবেশ করে ব্লগার নিলদ্রী চাটার্জি ওরফে নিলয়কে এলোপাথারি কুপিয়ে হত্যা মামলায় ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা রমনা বিভাগের রমনা জোনাল টিম।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিজ্ঞ আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আলোচিত এ হত্যা মামলার ঘটনায় জড়িত ১৩ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ০১ জন অভিযুক্ত পলাতক। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিনজন অভিযুক্ত বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
বিজ্ঞ আদালতে প্রেরিত অভিযোগপত্রে গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তরা হলো-০১। মোঃ মাসুম রানা, ০২। সাদ আল নাহিন, ০৩। মোঃ কাওসার হোসেন খাঁন, ০৪। মোঃ কামাল হোসেন সরদার, ৫। মাওলানা মুফতী আঃ গফ্ফার, ৬। মোঃ মর্তুজা ফয়সলে সাব্বির, ৭। মোঃ তারেকুল আলম ওরফে তারেক, ৮। খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান, ৯। আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাহাব, ১০। মোজাম্মেল হোসেন সায়মন, ১১। মোঃ আরাফাত রহমান ও ১২। মোঃ শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের।
বিজ্ঞ আদালতে প্রেরিত অভিযোগপত্রে পলাতক অভিযুক্ত হলো-১। মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মোঃ জিয়াউল হক।
গোয়েন্দা রমনা বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ০৭ আগস্ট ২০১৫ তারিখ ১৩.১৫ টায় ০৩/০৪ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় প্রবেশ করে ব্লগার নিলদ্রী চাটার্জি ওরফে নিলয়কে এলোপাথারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। উক্ত ঘটনায় খিলগাঁও থানায় ঐদিন রাত ২৩.৫৫ টায় হত্যা মামলা রুজু হয়। এরপর ০৮ আগস্ট ২০১৫ তারিখে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি মামলাটি তদন্তকালে ১২ জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। উপরোক্ত আসামীদের মধ্যে খাইরুল ইসলাম, মোঃ আবু সিদ্দিক সোহেল ও শেখ আব্দুল্লাহ বিজ্ঞ আদালতের কাছে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করে। উক্ত আসামীগণ বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দিতে ঘটনার মূল হোতা আসামী মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মোঃ জিয়াউল হকের নাম প্রকাশ করে এবং নিজেদের জঙ্গিগোষ্ঠি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে পরিচয় দেন। তদন্ত শেষে তদন্তে প্রাপ্ত জঙ্গিগোষ্ঠি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পলাতক আসামী মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মোঃ জিয়াউল হকসহ মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।