চীনের উহান থেকে শুরু করে বিশ্বের প্রায় ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে হানা দিয়েছে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস। এশিয়ার দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে এ ভাইরাস। এশিয়ার দেশগুলোতে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেলেও নেপালে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ৫২ জন। মৃতের সংখ্যা শূন্য। কোভিড নাইন্টিন প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক সীমানা বন্ধ করে দেয়া, লকডাউন ঘোষণার পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় দেশটি।
গেল ২৪ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো করোনা রোগী শনাক্তের কথা জানায় নেপাল। পরবর্তীতে হোম কোয়ারান্টিনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ সুস্থ হন ঐ ব্যক্তি। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিমানবন্দর ও সীমানায় হেলথ ডেস্ক স্থাপন করে দেশটি। ভারত ও চীনের সঙ্গে সীমানা বন্ধের পাশাপাশি সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও বাতিল করে নেপাল।
শিক্ষার্থীদের মাঝে ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দীর্ঘ দুই মাস পর কাঠমণ্ডুতে দ্বিতীয় করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয় নেপাল সরকার। লকডাউন অমান্যকারী বেশ কয়েকজনকে আটকও নিরাপত্তা বাহিনী।
করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় দেশজুড়ে কোয়ারান্টিন সেন্টার এবং অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করেছে নেপাল। হাসপাতালের ল্যাবরেটরির সুযোগ সুবিধাও বাড়ানো হয়েছে।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, এখানকার জনগণ সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে চলে। যাদের খাদ্যসহায়তা প্রয়োজন সরকার তাদেরকে ত্রাণ দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত ভারতসীমান্তবর্তী নেপালের দক্ষিণাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। তবে ভাইরাস প্রতিরোধে সবাই ঘরে থাকার চেষ্টা করছে।
লকডাউনের কারণে করোনার প্রাদুর্ভাব থেকে রেহাই পেলেও ইতোমধ্যে দেশটির অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কর্মহীনতার পাশাপাশি দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। লকডাউনের মধ্যেই রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন অনেকে। মাসব্যাপী লকডাউনে যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে উঠতে দুই বছর সময় লাগতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।