উত্তর নেপালের রাসুওয়া জেলায় ভূমি ধসে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রীয় সমাচার সমিতি বা আরএসএস এই তথ্যের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷
প্রতিবেদনে বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান উল্লেখ রয়েছে৷ সেই সূত্র মারফত খবর কমপক্ষে ৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই ভূমিধসে৷ মৃতের সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে৷ একটি পাকা বাড়ি, তিনটি হোটেল ও চারটি গাড়ি পুরোপুরি মাটির তলায় চাপা পড়েছে বলে সূত্রের খবর৷
মৃতেরা ওই বাড়িতেই ছিল বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে উদ্ধারকারী দল৷ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই ধস নামে৷ চিফ ডিস্ট্রিক্ট অফিসার কৃষ্ণা পাউডেল জানান গতকাল রাতে গোঁসাইকুন্ডা রুরাল মিউনিসিপ্যালিটি–২য়ের তিমুরে এলাকায় এই ধস নামে৷ উদ্ধার কাজে সহায়তা করছে নিরাপত্তা বাহিনী৷
এরই সঙ্গে স্থানীয় মানুষ উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছেন৷ প্রায় ১২ জনকে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে৷
শুধু বাড়ি–গাড়িই নয়, ধসের তলায় চাপা পড়েছে এলাকার অস্থায়ী পুলিশ পোস্টও৷ ধসের ফেলে বন্ধ সইফুরা–রাসুওয়াগাডি জাতীয় সড়ক৷ এলাকায় বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা৷ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে টেলিফোন সংযোগ৷
এরআগে, জুলাই মাসের প্রথম দিকে, বৃষ্টি–ধসে বিপাকে পড়ে কৈলাস–মানস সরোবর যাত্রা পথে দেড় হাজারেরও বেশি ভারতীয় তীর্থযাত্রী। বিদেশ মন্ত্রক জানায়, সিমিকোটে ৫২৫ জন, হিলসায় ৫৫০ জন, তিব্বতের দিকে আরও ৫০০ জন আটকে পড়েন। তাঁদের মধ্যে ২৯০ জন কর্নাটকের বাসিন্দা। সিমিকোট থেকে যাত্রাপথ বরাবর নজর ছিল ভারতীয় দূতাবাসের। ১৫৮ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করে নেপালগঞ্জে আনা হয়৷