মুম্বইয়ের ৭০টি বহুতলকে উচ্চতা কমানোর নোটিস দিল ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। বিমানের ওঠানামায় বাধা সৃষ্টি হওয়ার জন্যই এই নোটিস। জুন মাসের বিভিন্ন সময়ে বহুতল কর্তৃপক্ষকে এই নোটিস দেওয়া হয়েছে। আগামী অগস্টের মধ্যে উচ্চতা না কমালে বহুতলগুলির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ওই নোটিসে জানিয়েছে ডিজিসিএ। মুম্বই বিমানবন্দরের আশপাশে অর্থাৎ ভিলে পারলে, সান্তাক্রুজ এবং ঘাটকোপারে বহুতলগুলোকে এই নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই বিল্ডিংগুলোর মধ্যে অনেক আবাসন রয়েছে। নতুন অধিক উচ্চতাবিশিষ্ট বহুতলের পাশাপাশি অপেক্ষাকৃত কম উচ্চতার ৫০ বছরের পুরনো বহুতলও রয়েছে। নোটিস পাওয়ার পরই তাই বহুতল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আবাসিকরাও উদ্বিগ্ন।
এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার(এআইআই) তরফে জানানো হয়েছে, ইদানীংকালে বহুতলগুলি অনেক উঁচু তৈরি করা হচ্ছে। বিমানবন্দরের আশেপাশে বহুতলের সংখ্যাও বাড়ছে। এই বহুতলগুলিই বিমান ওঠা–নামায় বাধা সৃষ্টি করছে বলে দাবি এআইআই–এর। এই বহুতলগুলোর জন্যই অনেক সময় পাইলট ঠিক মতো ল্যান্ডিং পয়েন্ট দেখতে পান না। ফলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও বাড়ছে। এই নিয়ে বম্বে হাইকোর্টে একটি মামলা করে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ)। বাধা সৃষ্টিকারী বহুতলের একটি তালিকা চেয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। বিষয়টি খতিয়ে দেখার দেখার পরই বম্বে হাইকোর্ট ডিজিসিএ–কে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়। তার পরই এই নোটিস দেয় ডিজিসিএ।
আরও জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই ৭০টি বহুতলকে নোটিস দেওয়া হলেও, খুব তাড়াতাড়ি আরও ৪৫টি বহুতল এই নোটিস দেওয়া হতে পারে। ওই ৪৫টি বহুতল এখনও নোটিস পায়নি কারণ তাদের কাছে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার ইস্যু করা নো অবজেকশন সার্টিফিকেট রয়েছে। ডিজিসিএ–র দাবি, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী এই বহুতলগুলোও বিমান ওঠানামায় বাধা সৃষ্টি করে। তাই সেই নো অবজেকশন সার্টিফিকেট খতিয়ে দেখে বহুতলগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে ডিজিসিএ।
ভিলে পারলের এক আবাসিকদের প্রশ্ন, ১৯৬৭ সাল থেকে সেখানে আছেন তিনি। হঠাৎ করে এখন তাঁর আবাসন কী ভাবে বিমানের বাধা হয়ে দাঁড়াল? আর এক প্রৌঢ়ের জিজ্ঞাসা, আমরা কোথায় যাব? এই বয়সে কী আর নতুন করে ফ্ল্যাট কেনা সম্ভব? আর এক আবাসিকের প্রশ্ন, বহুতলের মাথার দিক থেকে ৬ মিটার পর্যন্ত ভাঙলে যদি বহুতলটাই ভেঙে পড়ে, তার দায়িত্ব কে নেবে?