ন্যাটো শব্দটিকে সম্প্রসারন করলে দাড়ায়, নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি ওরগানাইজেশন বা উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট। এই ন্যাটো গঠিত হয় আটলান্টিক মহাসাগরের দুই পাড়ে অবস্থিত উত্তর আমেরিকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ নিয়ে।
ন্যাটো একটি সম্মিলিত প্রতিরক্ষা গোষ্ঠী। ন্যাটোর প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিল ১২টি। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ৩০। সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মুসলিম দেশ কেবল দুটি, তুরস্ক ও আলবেনিয়া। এর সদর দপ্তর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত।
২য় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই এবং স্নায়ু যুদ্ধের প্রাক্কালে গঠিত এর উদ্দেশ্য ছিল সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সমন্বিত সুরক্ষা প্রদান করা। ন্যাটো হল পৃথিবীর বৃহত্তম শক্তিশালী সামরিক সংঘঠন। ন্যাটোর সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর খরচ পৃথিবীর সকল দেশের সামরিক খরচের প্রায় ৭০ ভাগ।
ন্যাটো চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ১৯৪৯ সালের ৪ এপ্রিল। যা পরবর্তীতে কার্যকর হয় ১৯৪৯ সালের ২৪ আগস্ট। চুক্তি অনুযায়ী, এর অন্তর্ভুক্ত যে কোন দেশের উপর হামলা হলে সেটি সবার হামলা হিসেবেই গণ্য হবে এবং তখন সবাই সহায়তার জন্য এগিয়ে আসবে। বিশ্ব রাজনীতি এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখে থাকে।
বর্তমানে ন্যাটোর মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নরওয়ের রাজনীতিবিদ জেসন স্টলবারবার্গ। সূত্রঃ উইকিপিডিয়া