নড়াইল জেলার ৩ উপজেলায় চালু হয়েছে কৃষি যন্ত্রপাতি সেবা কেন্দ্র। এ সেবাকেন্দ্র স্থাপনের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে খামার যান্ত্রিকরণের মাধ্যমে একই জমিতে বছরে একাধিকবার বিভিন্ন জাতের ফসল উৎপাদন।
প্রাথমিকভাবে নড়াইল সদর উপজেলায় উজিরপুর অর্গানিক বহুমুখী সমবায় সমিতিতে, লোহাগড়ার ইশানগাতি আইপিএম কৃষি ক্লাবে এবং কালিয়া উপজেলার চাচুড়ী সিআইজি (কমন ইন্টারেষ্ট গ্রুপ) কৃষি ক্লাবে ১টি করে কৃষি যন্ত্রপাতি সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রকৌশলী এ এম হেলালুর রহমান বলছিলেন, কৃষি ফসলের নিবিড়তা রক্ষায় উৎপাদন খরচ কমানো, সময় বাচানো ও শ্রমের অপচয় রোধকল্পে কৃষক বান্ধব কৃষি যন্ত্রপাতি সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এসব সেবা কেন্দ্রে ধান ও গম কর্তন যন্ত্র (রিপার), পাওয়ার টিলার চালিত সিডার যন্ত্র (বীজ বপন যন্ত্র),কম্বাইন্ড হারভেস্টর (ধান,গম কর্তন ও মাড়াই শেষে পরিষ্কার করে বস্তাবন্দী), ট্রান্সপ্লান্টনার (ধান রোপন যন্ত্র) ও পাওয়ার থ্রেসার যন্ত্র (ধান ও গম মাড়াই-ঝাড়াই যন্ত্র ) কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে প্রদান করা হয়েছে।
একটি সেবা কেন্দ্রের আওতায় কমপক্ষে ১০ একর জমি ও ২০ থেকে ২৫ জন কৃষক সদস্য থাকতে হবে বলে জানালেন কৃষি প্রকৌশলী এ এম হেলালুর রহমান।একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টর প্রতি ঘন্টায় ৩৬ জন লোকের সমপরিমাণ কাজ সম্পন্ন করতে পারে বলে জানান ওই কৃষি প্রকৌশলী।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রতিটি সেবা কেন্দ্রে প্রায় ১৫ লাখ টাকা মূল্যমানের কৃষি যন্ত্রপাতি বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রের বাইরের কৃষকরা একটি নির্দিষ্ট ফি প্রদানপূর্বক কৃষি যন্ত্রপাতি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপ-পরিচালক শেখ আমিনুল হক বলেন, ফসল উৎপাদন, কর্তন ও মাড়াইয়ে যে শ্রমিকের প্রয়োজন হয় তা থেকে অনেক কম খরচে কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কৃষকরা ধান,গম উৎপন্ন করে ঘরে তুলতে পারবেন। পাশাপশি একই জমিতে একাধিকবার বিভিন্ন জাতের ফসল উৎপাদনও সম্ভবপর হবে বলে তিনি জানান।