শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ওয়াপদা লঞ্চঘাটে ডুবে যাওয়া তিনটি লঞ্চের উদ্ধার অভিযান সময়িক স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর মো. মোজাম্মেল হক সোমবার বিকেলে এ ঘোষণা দেন।
লঞ্চ তিনটি শনাক্ত করা সম্ভব হলেও স্রোতের কারণে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করা হয়েছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর পদ্মা নদী ভাঙনের কারণে নড়িয়া উপজেলার ওয়াপদা লঞ্চঘাটের পন্টুন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পানির স্রোতে পল্টুনে নোঙর করা তিনটি লঞ্চ ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া মৌচাক লঞ্চটি ওই ঘাট থেকে ঢাকায়, নড়িয়া ২ ও মহানগরী লঞ্চটি নারায়ণগঞ্জে চলাচল করত।
দুর্ঘটনার দিন থেকে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় বিআইডাব্লিউটিএ’র ডুবুরি, নৌবাহিনীর ১৭ সদস্যের ডুবুরিদল ও ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা, ফরিদপুর ও শরীয়তপুরের তিনটি দল। উদ্ধারযান প্রত্যয় দুর্ঘটনাস্থলের পাশে নোঙর করে রাখা হয়। রবিবার সন্ধ্যায় নড়িয়ার চণ্ডিপুর লঞ্চঘাটের কাছে নড়িয়া ২ নামের লঞ্চটি শনাক্ত করা হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার ভেদরগঞ্জ উপজেলার দুলারচর এলাকায় মৌচাক ২ লঞ্চটি ও শুক্রবার মহানগরী লঞ্চটি শনাক্ত করা হয়।
সোমবার দুপুরে বিআইডাব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান নড়িয়ার সাধুর বাজার লঞ্চঘাটে আসেন। সেখানে জেলা প্রশাসক, নৌবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, লঞ্চ মালিক, লঞ্চ শ্রমিক ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে সভা করেন। সভা শেষে তিনি উদ্ধার অভিযান স্থগিত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “নদীতে প্রচণ্ড স্রোতে থাকার কারণে ডুবুরিরা নদীর তলদেশে যেতে পারছেন না। নদীর তলদেশে পৌঁছাতে না পারলে লঞ্চের সঙ্গে রশি বাঁধতে পারবে না, লঞ্চ টেনে ওঠানোও সম্ভব হবে না। স্রোত কমে গেলে উদ্ধার অভিযান চালানো হবে।
গত ১১ সেপ্টেম্বর দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু করে বিআইডাব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস ও নৌবাহিনীর যৌথ দল। সোমবার দুপুরে দ্বিতীয়বারের মতো উদ্ধার অভিযান পরিদর্শনে আসেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক। এ সময় শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হোসাইন খান, বিআইডাব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (উদ্ধার) ফজলুল হক, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন, ফায়ার সার্ভিস ফরিদপুর সহকারী পরিচালক এ বি এম মমতাজ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।