পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের উপর আক্রমন ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা পূর্ব বিভাগ। গত ১৯ নভেম্বর’১৮ তারিখ ১৭:৩০ টায় সূত্রাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১১নং ওয়ার্ড ছাত্রদল সভাপতি প্রার্থী ও মির্জা আব্বাসের অনুসারী মোঃ এইচ কে হোসেন আলী, শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ ভূইয়া, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ আব্বাস আলী, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম রবিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক জাকির হোসেন উজ্জ্বল ও মাহাবুবুল আলম, সহ-সভাপতি, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদল।
আজ (১৯ নভেম্বর’১৮) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম(বার), পিপিএম(বার)।
গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি জানান, ১৪ নভেম্বর’১৮ বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে পুলিশের উপর আক্রমণ, গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন যায়গায় অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত ০৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ঘটনার দিন প্রকাশিত ভিডিও ও স্থীর চিত্র পর্যালোচনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে সিটিটিসি প্রধান বলেন, ঘটনাস্থলে সহস্রাধিক মানুষ ছিল কিন্তু যারা ঘটনার সাথে জড়িত, নির্দেশদাতা এবং পরিকল্পনাকারী কেবলমাত্র তাদেরকেই মামলার আসামী করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে যারা যারা জড়িত ভিডিও ও স্থীর চিত্র দেখে তাদেরকে সনাক্ত করা হচ্ছে। রাজনৈতিক পরিচয় মামলার মূখ্য বিষয় নয়। যারা ফৌজদারী অপরাধ করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। ঘটনার দিন পুলিশ অসীম ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৪ নভেম্বর ২০১৮ তারিখ নয়া পল্টনে বিএনপি’র কার্যালয়ের সামনে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের উপর অতর্কিত হামলা, পুলিশের গাড়ীতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের ঘটনা সংঘটিত করে। এ ঘটনায় পরবর্তী সময়ে পল্টন থানায় ৩টি মামলা রুজু হয়। মামলা ৩টির তদন্তভার গোয়েন্দা পূর্ব বিভাগের উপর ন্যাস্ত হয়। গোয়েন্দা পূর্ব বিভাগের মতিঝিল জোনাল টিম রুজুকৃত মামলা তদন্তকালে ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকা হতে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে। গোয়েন্দা পুলিশ ভিডিও ফুটেজ যাচাই বাছাইসহ প্রকাশ্য ও গোপনে তদন্ত করে আসামীদের সনাক্ত করে ও গ্রেফতার করে।