পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় এবার অংশ নিচ্ছে মোট ৩০ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫ জন ক্ষুদে শিক্ষার্থী। এর মধ্যে প্রাথমিকে ২৮ লাখ চার হাজার ৫০৯জন এবং মাদ্রাসার ইবতেদায়িতে দুই লাখ ৯১ হাজার ৫৫৬জন পরীক্ষার্থী। আর পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ১২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৮৫ জন ও ছাত্রী ১৫ লাখ চার হাজার ৫২৪ জন। প্রাথমিকে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী সংখ্যা এক লাখ ৮৯ হাজার ৮০১ জন বেশি। আগামী ১৯ নভেম্বর সারাদেশে একযোগে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
আজ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য তুলে ধরে বলেন, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবার কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ। ভুয়া শিক্ষার্থীর তালিকা তৈরি বন্ধ হওয়ার কারণে পরীক্ষার্থী কমেছে।
তিনি আরও বলেন, আগে যখন শতভাগ শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পেত না, তখন ভুয়া তালিকা তৈরি করে সরকারের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ সব শিক্ষার্থীকে বৃত্তি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করত।’
প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার সূচি:
সূচি অনুযায়ী, আগামী ১৯ নভেম্বর ইংরেজি, ২০ নভেম্বর বাংলা, ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ২২ নভেম্বর প্রাথমিক বিজ্ঞান, ২৩ নভেম্বর ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং ২৬ নভেম্বর গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ইবতেদায়ী পরীক্ষার সূচি:
১৯ নভেম্বর ইংরেজি, ২০ নভেম্বর বাংলা, ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং বিজ্ঞান, ২২ নভেম্বর আরবি, ২৩ নভেম্বর কুরআন ও তাজবিদ এবং ২৬ নভেম্বর গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসে জিরো টলারেন্স নীতি:
প্রশ্নপত্র বিশেষ নিরাপত্তায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্গম এলাকার ২০৪টি কেন্দ্রে প্রশ্ন পাঠানো হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থায়। পরীক্ষার দিন উপজেলা থেকে কেন্দ্র সচিবের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। পরীক্ষার দায়িত্ব পালনে অবহেলা বা অনিয়মের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।’
পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না- জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের যত প্রকার ছিদ্র এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হয়েছে, যে ছিদ্রগুলো দিয়ে পানি আসতে পারে, সবটাই বন্ধ করার আমরা চেষ্টা করছি।’
প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে গত বছর থেকে দেশের ৬৪ জেলাকে বিশেষ আটটি অঞ্চলে ভাগ করে আট সেট প্রশ্ন ছাপিয়ে এই পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।