ডিএমপি নিউজঃ পটুয়াখালীতে নির্মিত হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র। পটুয়াখালির পায়রায় ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে জার্মানির কোম্পানি সিমেন্সের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
পায়রায় নির্মাণাধীন ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় এলএনজি (তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস) ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হবে। ব্যয়বহুল এই এলএনজি থেকে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।
রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ৫ নভেম্বর’১৭ রবিবার বিকালে এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (এনডব্লিউপিজিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এম খোরশেদুল আলম এবং সিমেন্স দক্ষিণ এশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুনীল মাথুর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
বিদ্যু বিভাগ থেকে জানা যায়, এখন পর্যন্ত দেশে নির্মিত বা নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সবগুলোই ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট থেকে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। আর পায়রায় ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের এ কেন্দ্রটি নির্মাণ হলে এটি দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রের মর্যাদা পাবে।
দুই প্রতিষ্ঠানের সাথে স্বাক্ষরিত এমওইউতে উল্লেখ করা হয়, ১০০ একর জমির উপর পটুয়াখালির ধানখালি এলাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮০ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় ২৩ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঋণ হিসেবে জার্মানি দিবে ২৪০ কোটি ডলার, যা মোট ব্যয়ের ৮০ শতাংশ। আমদানিতব্য এলএনজি থেকে ৩ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। যৌথ মালিকানার বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অর্ধেক মালিকানা বাংলাদেশের এবং বাকি অর্ধেক জার্মান কোম্পানি সিমেন্সের। প্রকল্পের মূলধনী বিনিয়োগ ৪০ কোটি ডলারের অর্ধেক ২০ কোটি ডলার সংস্থান করবে এনডব্লিউপিজিসিএল।