পাটজাত পণ্যের সঠিক ব্যবহার , পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষার্থে ও পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষে মনিটরিং টিম গঠন করেছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করে কৃত্রিম মোড়ক বিক্রয়, বিতরণ বা সরবরাহ করলে বা অনুমতি দিলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী জেল-জরিমানা করা হবে। এ জন্য মন্ত্রণালয় টিম মনিটরিং করছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
রোববার সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এ সময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক মোছলেহ উদ্দিন, বিজেএমসি চেয়ারম্যান ড. মাহমুদুল হাসান, যুগ্মসচিব নাসিমা বেগমসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কতিপয় পণ্যের সরবরাহ ও বিতরণে কৃত্রিম মোড়কের ব্যবহারজনিত কারণে সৃষ্ট পরিবেশ দূষণ রোধে পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০(২০১০ সনের ৫৩ নং আইন) প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী এ পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করে কৃত্রিম মোড়ক দিয়ে কোনো পণ্য বা পণ্যসামগ্রী মোড়কজাতকরণ, বিক্রয়, বিতরণ বা সরবরাহ করলে বা করার অনুমতি দিলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
মির্জা আজম বলেন, আগামী ১৫ মে থেকে সড়ক, মহাসড়ক, তফসিলে বর্ণিত পণ্যসমূহ উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণ এলাকা এবং ঢাকাসহ সারা দেশে একযোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা হবে।
এ লক্ষ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ সার্বিক সহযোগিতার জন্য মহাপুলিশ পরির্দশক, ডিআইজি, পুলিশ সুপারদের নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নির্ধারিত পণ্য আমদানি ও রফতানিকালে পাটজাত পণ্য দ্বারা মোড়কীকরণ না হলে আইআরসি এবং ইআরসি বাতিল করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এছাড়া ধান ও চাউল পাটের ব্যাগে মোড়কীকরণ করা না হলে চাতাল মিল মালিকদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে মর্মে খাদ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করেছে বলেও জানান তিনি।