সরকার চলতি অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি করে ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি (৩৭.৫ বিলিয়ন) ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে । আগের অর্থবছরে ছিল ৩ হাজার ৭০০ কোটি (৩৭ বিলিয়ন) ডলার। সেই হিসেবে এবার এই লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে ১.৩৫ শতাংশ।
গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আশা করি এই টার্গেটে আমরা পৌঁছাতে পারব।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এবার প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক শিল্প খাত থেকে ৩০ হাজার ১৬০ কোটি ডলার আসবে বলে টার্গেট করা হয়েছে, যা মোট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার ৮০ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ হাজার ৭০০ কোটি (৩৭ বিলিয়ন) ডলার। সেই হিসেবে এবার এই লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে ১.৩৫ শতাংশ। গত অর্থ বছরে ৩৪.৮৩৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছিল। সেবাখাতে ৩ হাজার ৫০০ কোটি ডলার নিয়ে চলতি অর্থবছরের জন্য ৪১ হাজার কোটি ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তোফায়েল আহমেদ।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৫৪ ভাগ আসে ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন থেকে। এ বছর রপ্তানি সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতায় ঘোষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে বলে আশা করছি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত বছর তৈরি পোশাক খাত মোট রপ্তানিতে ৮০.৮১ ভাগ, চামড়া খাত ৩.৫৪ ভাগ, পাট ও পাট পণ্য ২.৭৬ ভাগ, হোম টেক্সটাইল ২.২৯ ভাগ অবদান রেখেছে। তৈরি পোশাক খাতে মাত্র ০.২০ ভাগ প্রবৃদ্ধি ঘটলেও ইঞ্জিনিয়ারি প্রোডাক্ট খাতে ৩৫.০৫ ভাগ এবং প্লাস্টিক প্রোডাক্ট খাতে ৩১.৪ ভাগ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। অন্য খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু, শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, প্রবাসী কল্যাণ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।