ডিএমপি নিউজঃ পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে নাশকতার চেষ্টাকারী একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। গ্রেফতারকৃতের নাম মাহদি হাসান।
বুধবার (২৯ জুন ২০২২) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাহদিকে গ্রেফতার করে সিটিটিসির সিটি ইন্টেলিজেন্স অ্যানালাইসিস বিভাগ। গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত থেকে ভিডিও ধারণকৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন ২০২২) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, বিপিএম(বার)।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গত ২৫ জুন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন করেন এবং এই দিনটিকে এক গৌরবোজ্জ্বল ঐতিহাসিক দিন হিসেবে অবহিত করেন। একদল অসাধু চক্র পদ্মাসেতু যাতে নির্মিত না হয় তার জন্য পূর্ব থেকেই বিভিন্ন অপপ্রচারসহ সেতু ধ্বংস ও ক্ষয়ক্ষতির কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলো। তারই ধারাবাহিকায় পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই বিভিন্ন গোষ্ঠী সেতুর বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত হতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের এই মাইলফলক দেশের বর্তমান সরকারের একটি অবিস্মরণীয় সাফল্য। এই সাফল্যকে ছোট করা ও জনগণের নিকট প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি মহল সর্বদা চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসাবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কিছু অসাধু ব্যক্তিকে দেখা যায় যারা স্থাপনায় উঠে বিভিন্ন নাশকাতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। তন্মধ্যে ২৬ জুন বিকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হতে দেখা যায় যেখানে গ্রেফতারকৃত মাহদি হাসান সেতুর রেলিং এর সাথে সংযুক্ত নাট-বল্টু খুলে প্রদর্শন করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রেফতারকৃত মাহদি হাসান সেতুর রেলিং থেকে নাট-বল্টু খুলছে আবার লাগিয়ে দিচ্ছে।
সিটিটিসি প্রধান বলেন, ডিএমপির সাইবার ইন্টেলিজেন্স ডিভিশন পূর্ব থেকেই এ বিষয়ে মনিটরিং করে আসছিল এবং মুন্সিগঞ্জের পদ্মা সেতুর উত্তর থানা থেকে রিকুইজিশন পাওয়া মাত্রই তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন সূত্রের ভিত্তিতে মাহদি হাসান (ভিডিওতে অবস্থানকারী ব্যক্তি)কে সানাক্ত করা হয়। এরপর লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ এলাকায় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিএমপির সিটিটিসি সাইবার ইন্টেলিজেন্স ডিভিশনের উপ-পুলিশ কমিশনার মিশুক চাকমা, বিপিএম-সেবা এর দিকনির্দেশনায় অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার সাইদ নাসিরুল্লাহ, পিপিএম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ আরিফুল হোসেইন তুহিন ও সহকারী পুলিশ কমিশনার অমিত কুমার দাশ এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।