আশির দশকের মধ্যভাগে বাংলাদেশের অডিও গানে মুজিব পরদেশী নামের এক শিল্পী এসে তোলপাড় করে দিলেন। এই শিল্পীর গানের লাইনে চিঠিতে লিখে প্রেমিকার মন জয়ের চেষ্টা করতেন প্রেমিকরা। মাঝখানে অনেকটা সময় কেটে গেল। কোনো আলোচনায় ছিলেন না মুজিব পরদেশী। গেল বছর একটি বিজ্ঞাপনে হাজির হয়ে আবারও সরব হয়ে উঠলেন তিনি।
তার ভরাট আর হাহাকার মাখা কণ্ঠের ফোক গান মোহিত করেছিল সবাইকে। একে একে তিনি গেয়েছিলেন ‘কলমে নাই কালি’, ‘আমি বন্দী কারাগারে’, ‘তোমায় আমি হলেম অচেনা’সহ অসংখ্য শ্রোতা নন্দিত গান।
এরপর থেকে নিয়মিতই তাকে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-কনসার্টে। সেই ধারাবাহিকতায় আসছে রোজা ঈদে নতুন উপহার নিয়ে হাজির হচ্ছেন মুজিব পরদেশী। প্রাণ স্ন্যাক্স টাইম সৌজন্যে নির্মিত হয়েছে তার দুটি গান ‘তোমায় আমি হলাম অচেনা’ ও ‘হলুদিয়া পাখি’র মিউজিক ভিডিও। রেদওয়ান রনির নির্মাণে এই দুটি গানের মডেল হয়েছেন স্পর্শিয়া এবং তানজিন তিশা।
আজ মঙ্গলবার এই গান দুটির প্রকাশ উপলক্ষে একটি রাজধানীর এক রেস্তোরায় অনুষ্ঠিত হয় সংবাদ সম্মেলন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুজিব পরদেশী। হাস্যরসে মাতিয়ে গল্পের ছলে শিল্পী সেখানে তার নামের শেষে ‘পরদেশী’ শব্দটি যোগ করার ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, আমার পারিবারিক নাম মুজিবুর রহমান মোল্লা। যখন গান করতে এলাম ভাবলাম নামের শেষে মোল্লা, গান করলে পাবো গোল্লা। এই ভেবেই নাম বদলে নিলাম। ‘মুজিবুর’ও বাদ, ‘মোল্লা’ও বাদ। হয়ে গেলাম পরদেশী।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার সমস্যা হলো আমি পরদেশী কেন? জীবনে বহুবার এই প্রশ্নের উত্তর আমাকে দিতে হয়েছে। আমি কোনদেশি? আসলে নামে পরদেশী হলেও আমি বাংলাদেশি। সব মানুষই পরদেশী। মানুষের আসল দেশ বা স্বদেশ হলো মৃত্যুর পরের যে দেশ। কে কখন নিজ গৃহে যাত্রা করি কে বলতে পারে? তাই আমি যে পরদেশে বেড়াতে এসেছি সেটা যেন ভুলে না যাই সেই ভাবনা থেকেই নামের শেষে ‘পরদেশী’ ব্যবহার করেছি।’