ডিএমপি নিউজঃ জাপানের ক্ষতিগ্রস্ত পরমাণু কেন্দ্রে ব্যবহৃত ১০ লাখ টনের বেশি পানি দেশটি সাগরে ফেলে দেবে। স্থানীয় মাছ শিকারিদের কঠোর বিরোধিতা করা সত্ত্বেও দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা এসব পানি তারা ফেলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
২০২২ সালের একেবারে শুরুর দিকে এসব পানি ফেলে দেয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশংকা করছেন দেশটির পরিবেশবাদীরা। তবে এ পানির তেজস্ক্রিয়তা হ্রাসে পরিশোধিত করা হয়েছে।
২০১১ সালে ভয়াবহ সুনামিতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এ পরমাণু কেন্দ্র শীতল করতে ব্যবহৃত পানি কীভাবে অপসারণ করা হবে সে বিষয়ে কয়েক বছরের বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরমাণু কেন্দ্রে ব্যবহৃত এসব পানি সাগরে ফেলা বা বাষ্পীভূত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে উভয়টি ‘বাস্তবানুগ পদক্ষেপ।’
গত মাস পর্যন্ত এ পরমাণু কেন্দ্রে ১২ লাখ ৩০ হাজার টন পানি ব্যবহার করা হয়েছে এবং এসব পানি সেখানে জমা রয়েছে।
এদিকে পরিবেশবাদীরা এমন সিদ্ধান্তের কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়াও পরিবেশগত প্রভাবের ব্যাপারে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা ওই অঞ্চল থেকে সামুদ্রিক খাদ্যের আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।