রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পরিবারের আকার ছোট রাখতে পরিবার পরিকল্পনা সেবার পাশাপাশি প্রজনন সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রাক্কালে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আগামীকাল বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-’১৭ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, পরিকল্পিত পরিবার একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত। কারণ যে কোন পরিবারের আকার ছোট হলে ওই পরিবারের সদস্যদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার পূরণে সুবিধা পায়। পাশাপাশি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গঠনেও পরিবার-পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আবদুল হামিদ বলেন,বাংলাদেশের আয়তন, অবস্থান, জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ, আথর্-সামাজিক অবস্থা ইত্যাদি বিবেচনায় রেখে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহীতার হার বৃদ্ধি করে পরিকল্পিত পরিবার গঠনের বিকল্প নেই। এ বিষয়টির গুরত্ব অনুধাবন করে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন,এ বছর বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘পরিবার পরিকল্পনা : জনগণের ক্ষমতায়ন, জাতির উন্নয়ন’ – দেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে এটি অত্যন্ত সময়োপযোগি ও যথার্থ হয়েছে।দারিদ্র্যের সাথে জনসংখ্যা, বৃদ্ধির একটা ধনাত্মক সম্পর্ক রয়েছে। তাই পরিবার পরিকল্পনার মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার রোধ করে দারিদ্র্য বিমোচনসহ শিক্ষা ও কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে।
পরিকল্পিত পরিবার গঠনের জন্য বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে সক্ষম দম্পতিদের নিকট পরিবার পরিকল্পনা সেবা সঠিক সময়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বিদ্যমান কর্মসূচিতে উদ্ভাবনীমূলক কর্মকান্ডে সন্নিবেশ ঘটাতে হবে। তাহলে দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে জনগণের ক্ষমতায়ন হবে এবং ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছে যাবে।
এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরো সক্রিয় ও আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।