ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক এই মহাকাশযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সপ্লোরেশন টেকনলিজিস কর্পোরেশন ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, ২০১৮ সালের শেষ নাগাদ দুজন সাধারণ নাগরিককে চাঁদে পাঠানো হবে। মহাশূন্যে পাড়ি জমাতে আপনাকে আর মহাকাশচারী হতে হবে না। সে ব্যবস্থা করে ফেলেছে স্পেসএক্স। এই উপলক্ষে স্পেসএক্স ড্রাগন এয়ারক্রাফটের নতুন এক সংস্করণ গড়ে তোলা হচ্ছে । এর আসল যানটি বানানো হয়েছিল মূলত কার্গো এবং মানুষ পাঠানোর কাজে।
পরিকল্পনা ছিল, এটি ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনকে কেন্দ্র করে ঘুরবে। পরে নাসা ড্রাগনকে নতুন করে সাজাতে অর্থায়ন করে। এ বছরের শেষ দিকে একটি ডেমো মিশন পরিচালনা করা হবে আইএসএস এর দিকে। অবশ্য সেই ভাগ্যবান মানুষদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। বেসরকারি এই মিশনে ক্রু ড্রাগন পৃথিবী ছাড়বে স্পেসএক্স এর ফ্যালকন হেভি রকেটে চেপে। চাঁদ ঘুরে পৃথিবীতে আবার ফিরে আসবে। গোটা ভ্রমণ পরিচালিত হবে ৩–৪ লাখ মাইল পথজুড়ে।
স্পেসএক্স থেকে বলা হয়, দীর্ঘ ৪৫ বছরের মধ্যে এটাই মহাকাশের গভীরে মানব ভ্রমণ হিসাবে গণ্য হবে। অ্যাপোলো প্রোগ্রাম যেখান থেকে পরিচালিত হয়েছিল, সেই লাঞ্চ প্যাড থেকেই উড়বে স্পেসএক্স এর প্রোগ্রাম। কেপ ক্যানাভেরালের কাছে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মিশন শুরু হবে। মানুষ ও পণ্যকে মহাকাশে পাঠাতে এটাই হবে প্রথম প্রাইভেট মিশন। সিইও ইলোন মাস্ক বলেন, প্রতিবছর অন্তত তিন–চারটি মিশন পরিচালনা করা যাবে। আর এসব মিশন দিয়েই ১০–২০ শতাংশ রেভিনিউ চলে আসবে।