পল্লী উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রম গতিশীল করতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। এ সময় পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ সেতু উদ্বোধনের পর বিশাল একটি এলাকার যে সম্ভাবনার দুয়ার উন্মোচন হবে তা কাজে লাগিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে বেগবান করতে হবে। তাই বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পে বহিস্থ হস্তক্ষেপ কমিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করার আহবান জানান তিনি।
আজ রাজধানীর কাওরানবাজারে পল্লী ভবনে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি)-এর সম্মেলন কক্ষে বিআরডিবি’র কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মোঃ কামাল উদ্দিন তালুকদার ও বিআরডিবি’র মহাপরিচালক মুহম্মদ মউদুদউর রশীদ সফদার বক্তব্য রাখেন। এর আগে বিআরডিবি’র কার্যক্রম ও সাফল্য সম্পর্কে মন্ত্রীকে বিস্তারিত অবহিত করা হয়। মন্ত্রী সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে কথা বলেন ও বিআরডিবি’র কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে নির্দেশনা প্রদান করেন।
মন্ত্রী বলেন, এ ধরণের প্রতিষ্ঠানগুলো ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি সফল করতে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত উদ্যোক্তা তৈরীর ওপর জোর দিতে হবে এবং বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা গ্রামেও সহজলভ্য করতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। সভায় জানানো হয়, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার গুরুদায়িত্ব নিয়ে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন কর্মসূচি (আইআরডিপি) নামে আজকের বিআরডিবি’র যাত্রা শুরু হয়। সে সময় সমবায়ের মাধ্যমে উৎপাদন প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তনই প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য ছিল। পরবর্তীতে এক আইন বলে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড গঠিত হওয়ার পর কৃষি উন্নয়নের পাশাপাশি সমাজের অধিকতর উন্নয়নের ব্রত নিয়ে দারিদ্র্য বিমোচন, আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃজন, গ্রামীণ নেতৃত্বের বিকাশ সাধন ও নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বিআরডিবি তার কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে থাকে। ফলশ্রুতিতে পল্লী অঞ্চলে কৃষি ও অকৃষি খাতে বাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয় এবং গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠী নিজস্ব পুঁজি ও মূলধন গঠনে উৎসাহী হয়ে ওঠে।