অনেক সংঘাত, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কারাবরণ, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নানা সমালোচনার পর অবশেষে আজ পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন। গত পরশু দেশটির হেভিওয়েট প্রার্থীরা সর্বশেষ নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। এদিকে গতকাল দেশটির নির্বাচন কমিশন ব্যস্ত সময় পার করেছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট বাক্স পৌঁছানো শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন।
গত পরশু লাহোরে বিশাল সমাবেশ করে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এদিকে, দুর্নীতির দায়ে কারারুদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগের (পিএমএল) হয়ে রাওয়ালপিন্ডিতে প্রচারণায় অংশ নেন শাহবাজ শরিফ।
দেশজুড়ে সমস্ত কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী সামগ্রী; মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রয়োজনীয় সদস্য। আজ স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় সারা দেশ একযোগে ভোট শুরু হবে। জাতীয় এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা সাড়ে ১০ কোটি। এ ভোটেই আগামী পাঁচ বছরের জন্য পাকিস্তানের মজলিসে শূরা বা সংসদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। জাতীয় সংসদ ও চারটি প্রদেশের প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করবে পাকিস্তানের জনগণ।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মোট আসনের অর্ধেকের বেশি আছে পাঞ্জাব প্রদেশে। জাতীয় নির্বাচনে ৩৪২টি আসনের মধ্যে ২৭২টি আসনে সরাসরি ভোট হবে। এর মধ্যে পাঞ্জাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ১৪৮টি আসনে। তবে সরকার গঠনে ১৭২টি আসন লাগবে। সরকার গঠনে তাই পাঞ্জাব প্রদেশটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। করাচিতে ভোটারদের তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রগুলোর সামনে। এ ছাড়া খাইবারপাখতুন প্রদেশে পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে ভোট কেন্দ্রগুলোয়। সঙ্গে ভিডিও ক্যামেরার মাধ্যমে সরাসরি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনে কে জয়ী হবে, তা আজই হয়তো জানা যাবে। তাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছেন অনেকে।