বোরো ধান আবাদে উত্তরবঙ্গের অন্যতম জেলা রংপুর।গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ জেলার ৩ লাখ ৩৪ হাজার একর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়। কিন্তু এই অর্থবছরে বোরো আবাদের জমি প্রায় ৩ শতাংশ কমে হয় একই সময়ে বেড়েছে পাটের আবাদ। এক বছরের ব্যবধানে রংপুরে পাটের আবাদ বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ।
রংপুরে পাটের আবাদ বৃদ্ধির কারণ জানালেন স্থানীয় কৃষক রমজান আলী। চলতি বছরের তিনি উৎপাদন ধানের দাম ভালো পাননি। এ কারণে কয়েক বছর আগে থেকেই বিকল্প ফসল আবাদে মনোযোগী হন। গত দুই বছর পাটের ভালো দাম পাওয়ায় ফসলটির আবাদ বাড়িয়েছেন তিনি। এজন্য পাটের ভালো বীজ সন্ধানের পাশাপাশি পাট পচানোর জন্য মেশিনের খোঁজও নিয়েছেন। পাটের দামের এ ধারাবাহিকতা থাকলে পাট চাষী আগ্রহে হবে।
দেশে মোট বোরো আবাদের প্রায় ৪ শতাংশ হয় উত্তরের আরেক জেলা দিনাজপুরে। কিন্তু সেখানেও বোরো আবাদ ধারাবাহিকভাবেই কমছে। বোরোর পরিবর্তে কৃষকের আগ্রহে জায়গা করে নিচ্ছে পাট। এক বছরের ব্যবধানে দিনাজপুরে পাটের আবাদ বেড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জেলার ২১ হাজার ৯৮৬ একর জমিতে পাট আবাদ হলেও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে ২৫ হাজার ৩০০ একরে উন্নীত হয়েছে। ভালো দামের কারণে পাটের উৎপাদন বৃদ্ধিতেপাচ্ছেন।
১৭ লাখ ৯৩ হাজার একরে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বোরোর আবাদি জমি কমেছে প্রায় দেড় শতাংশ। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে আবাদ কমেছে ৩৩ হাজার ৭৭৯ একর। একই সময়ে রাজশাহী বিভাগে বোরো আবাদ কমেছে ৩১ হাজার ১৩০ একর।
অন্যদিকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬১১ একর জমিতে পাট আবাদ হলেও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ২৩ হাজার ১০৪ একরে। এক অর্থবছরের ব্যবধানে পাটের আবাদ বেড়েছে প্রায় ৯ শতাংশ। এর মধ্যে রংপুর বিভাগে পাটের আবাদ বেড়েছে ১৩ হাজার ৩১ একর। আর রাজশাহী বিভাগে আবাদ বেড়েছে ১৩ হাজার ৭৭১ একর।